
বেত্রাবতী ডেস্ক।। যশোরের শার্শায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ফসল ফলানোর চেষ্টা করছেন তারা। তীব্র শীতে জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে কিছুটা ব্যাহত হলেও সোনার ফসল উৎপাদন করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এর আগে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে কিছুটা উচ্ছ্বাস রয়েছে। এদিকে মাঘ মাস পড়ার আগে থেকেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ফলে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের মাঝে কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে কোথাও কোথাও বীজতলা তৈরি, কোথাও বীজতলা থেকে চারা তুলছে। আবার কেউ কেউ জমি তৈরি ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করছেন কৃষকরা। গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে পুরোদমে চলছে জমিতে সেচকাজ।
কৃষক মোস্তাক আহমেদ বলেন, চলতি বছরে ৩ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করার জন্য জমি প্রস্তুত করেছি। এখন বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে রোপনের চেষ্টা করছি। শীত ও ঘন কুয়াশায় কাজে কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
শার্শার নাভারণের চাষি আমির হোসেন বলেন, প্রতি বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করে থাকি। এ বছরও করেছি, তবে শীতের তীব্রতা একটু বেশি থাকায় একটু কষ্ট হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ইরি-বরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর। গত বছরেও একই পরিমাণ জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন,বোরো ধান রোপন কাজ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। আবহাওয়া জনিত কারণে প্রতিবছর বীজতলা কম বেশী নষ্ট হলেও এ বছর শীত ও ঘন কুয়াশার মাঝেও বীজতলায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সকল পরিবেশে কৃষকরা যেন তাদের সোনালী স্বপ্নকে ভাল ভাবে ঘরে তুলতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।