
বেত্রাবতী ডেস্ক।। আম চাষের নতুন উদ্ভাবনী বারি ১১জাতের বারোমাসি আম চাষে সফল হয়েছেন শার্শার বাগআঁচড়া পিপড়াগাছি গ্রামের নার্সারী মালিক নুর ইসলাম। গাছে বারো মাস ধরে এই আম। এই জন্য এই জাতের নাম বারি-১১ বারোমাসি আম বলা হয়। ১২ বিঘা বাগান হতে এবার অসময়ে কয়েক লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছেন। বাগানের গাছে এখন ভরপুর আম রয়েছে। আগামীতে আম বিক্রি করে অধিক লাভের আশা করছেন নুর ইসলাম।
নুর ইসলাম জানান, তিনি ছিলেন একজন কুল ব্যবসায়ী।কুলচাষে অনেক খরচ। লাভ হয় কম। তখন সেই কুল চাষ বাদ দিয়ে চাপাইনবয়াবগঞ্জ ফল গবেষনা কেন্দ্রের মাধ্যমে বারি-১১ বারোমাসি আম চাষে নেমে পড়েন।প্রাথমিক ভাবে সে চারটি চারা রোপন করে।এতে সে প্রচুর পরিমানে ফলে দেখে তাক লেগে যায় তার।পরবর্তিতে নুর ইসলাম তার নার্সারিতে নিয়ে চারা কলম করে এখন ৯ বিঘা জমিতে এ আমের চারা রোপন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নুর ইসলাম।
তিনি জানান, কলম চারা দিয়ে নুর ইসলাম উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের মাঠে ৩ বিঘা কাটিমন ও ৯ বিঘা বারি-১১ আমবাগান গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৪০০ টির মতো গাছ রয়েছে তার বাগানে। বাগানের বয়স এখন ৪ বছর। তার নার্সারীতে বিক্রির জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বারি-১১থা ই বারোমাসি আমের চারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের গাছের বোটায় থোকাই থোকাই আম ঝুলছে। কোনটাতে পাক ধরেছে, আবার কোনটা কাঁচা। কোন গাছে মুকুল ধরেছে, আবার কোনটাতে গুটি। বছরে তিন বার ফল দিচ্ছে এ গাছ। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ৩ বারে গড়ে ৪০কেজির মতো আম পাওয়া যাচ্ছে। অসময়ে উৎপাদিত হওয়ায় এ আমের দামও চড়া। বরোমাসি এ আম পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। দেখতে আকারে অনেকটা আম-রুপালি আমের মত। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। আঁটি আকারে অত্যন্ত ছোট ও পাতলা। উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে তাকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নুর ইসলাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান,ফল উৎপাদনে শার্শা উপজেলা একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা।সেরকম একটি ফল হচ্ছে আম।এখানে প্রায় ৬শ ৯০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদিত হয়।গতানুগতিক ধারায় এই উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে থাকে।যার মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম রুপালি অন্যতম।কিন্তু একটি নতুন জাত বারি-১১ আম চাষ হচ্ছে।যে আমটি সারা বছর ব্যাপি উৎপাদিত হয়ে আসছে। বাগআঁচড়ার নুর ইসলাম এটি তৈরী করেছেন। এটি দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য একটি জাত। এ আম খেতে অত্যন্ত সুমিষ্ট। ঘ্রাণও সুন্দর। আমের খোলার নিচের অংশ খুব শক্ত হওয়ায় ঘরে অনেক দিন রেখে খাওয়া যায়। এ আম চাষে কৃষক লাভবান হবেন বলে তিনি অশা করছেন।