
বেত্রাবতী ডেস্ক।।শার্শায় দুই মণ মরা গরুর মাংসসহ কসাই ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাজার কমিটি। ঘটনার পর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়
বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলাার সুবর্ণখালী গ্রামের কসাই আলী ফকির (৪৩) ও তার সহযোগী ছোট নিজামপুর গ্রামের শুকুর আলী (৪৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া কলোনি পাড়া এলাকার মাংস বিক্রেতা ইদ্রিস আলী। তিনি বুধবাার সকাল ৭টার দিকে একটি মরা গরু জবাই করে মাংস নিজামপুর বাজারের কসাই আলী ফকিরের কাছে পাইকারি বিক্রি করেন। পরে ওই মাংস কেনার সময় তা দুর্গন্ধ যুক্ত ও দেখতে বিকৃত হওয়ায় ক্রেতাদের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বাজার কমিটি ও ইউপি মেম্বরসহ কয়েকজন কে জানান।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সকালে কসাই আলী ফকিরের কাছে মাংস কিনতে গিয়ে দেখি পচা। সঙ্গে সঙ্গে দুই মণ মাংসসহ তাদের আটক করা হয়। পরে বাজার কমিটি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। মাংসগুলো ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
বিষয়টি স্বীকার করে কসাই আলী ফকির জানান, তিনি গোড়পাড়ার কসাই ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে ওই মাংস কিনেছিলেন।
নিজামপুর বাজার কমিটির সভাপতি শাহাজান তরফদার বলেন, আলী কসাই বাইরে থেকে মাংস এনে বাজারে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই এ ধরনের কাজ (পচা মাংস বিক্রি) করে আসছেন। আজ বুধবার সকালে মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে জনতার হাতে তিনি আটক হন। পরে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছিলাম। এটি দেখভাল করাটা মূলত ইউএনও স্যারদের কাজ। আমার কাজ নয়। এজন্য আমি সেখানে যাইনি।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, আমাকে এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।