ঢাকামঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষাঙ্গন
  13. সারাদেশ
  14. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাত ১১টার মধ্যে ঘুম, ভালো থাকবে হৃদযন্ত্র-গবেষণা

Arifuzman Arif
নভেম্বর ৯, ২০২১ ৭:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আদর্শ সময় রাত ১০ টা থেকে ১১টা। কারণ  ৮৮ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে, যারা এই নিয়মমাফিক এই সময়ের মধ্যে ঘুমাতে যান তাদের হৃদযন্ত্র তুলনামূলক সুস্থ থাকে। সম্প্রতি এই গবেষণার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে।

যুক্তরাজ্যের গবেষণা দলটির মতে, সময় ঘড়ির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের দেহঘড়িকেও যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়া যায় তাহলে এতে হার্টএটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য গবেষকরা প্রথমে ৮৮ হাজার জন স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করেছেন এবং এরপর তাদের হাতে ঘড়ির মত দেখতে একটি ডিভাইস সেট করে দিয়েছেন।

টানা সাত দিন এই ডিভাইসেই রেকর্ড করা হয় তাদের ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে জেগে ওঠার সময় এবং সেইসময়ে তাদের শরীর সম্পর্কীয় বিভিন্ন তথ্য।

এভাবে ছয় বছর বিভিন্ন সময়ে এই প্রকৃয়া চালানো হয়। এবং দেখা যায়  ৮৮ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ৩০০০ জন প্রপ্ত বয়স্ক মানুষের হার্টের রোগ হয়েছে।

সেটিও আবার এমন মানুষের ক্ষেত্রেই হয়েছে যারা বেশিরভাগ ঘুমের আদর্শ সময় মেনে চলেননি, অর্থাৎ, রাত ১০ টার আগে অথবা রাত ১১টার পরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন।

এই গবেষণার প্রধান, যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ডেভিড প্ল্যানস বলেন, “যদিও আমরা আমাদের এই গবেষণার ফল থেকে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি না, তবে এটুকু নিশ্চিত যে অনিয়মিত ঘুম হর্টের জন্য ক্ষতিকর।“

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের জেষ্ঠ্য কার্ডিয়াক নার্স রেজিনা গিবলিন বলেন, “ এই গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে নিজের হার্টকে সুস্থ রাখতে, রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া একটি সুন্দর অভ্যাস হতে পারে।“

তবে এই গবেষণাটি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের ওপর করা হয়েছে এটিও মনে রাখতে হবে বলে জানান গিলবিন। বলেন, “হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে ঘুমের বিষয়টি কীভাবে জড়িত তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।“

তবে হার্টের অসুখের জন্য অনিয়মিত ঘুমই একমাত্র কারণ নয়। উচ্চরক্তচাপ, কোলস্টেরল, অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং লবন ও অ্যালকোহল গ্রহণও হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।-বিবিসি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।