
কুমিল্লা জেলার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন।
কুমিল্লা শহরে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইকবাল কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, মণ্ডপে কোরআন রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেয়ার কথাও পুলিশের কাছে বলেছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনো ইকবাল জানাননি।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারের পর থেকেই ইকবাল অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়ার পর থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট।
কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাকে শুক্রবার দুপুরে নেয়া হয় কুমিল্লা পুলিশ লাইনে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের ডিআইও মনির আহমেদ জানান, বিকালে সংবাদ সম্মেলনে ইকবালের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
ইকবালের সহযোগী সন্দেহে ইকরামসহ অন্তত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কুমিল্লা নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদও রয়েছেন। এই মাজারের মসজিদ থেকেই কোরআন নিয়ে মণ্ডপে রাখেন ইকবাল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইকবাল গ্রেফতার হওয়ায় এখন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।