
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: দূর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চারদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে উভয় বন্দর এলাকায়।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে প্রায় ৩০০ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে। আর বেনাপোল দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক রফতানি পণ্য নিয়ে যায় ভারতে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চারদিন ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিলো। ভারতে ছুটির সময় আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসসহ শুল্কবিভাগ ও বন্দরের সকল কাজকর্ম চালু ছিলো। পাসপোর্টযাত্রী চলাচল ছিলো স্বাভাবিক।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চারদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টানা চারদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় আজ যে পরিমাণ ট্রাক আসা যাওয়ার কথা ছিলো তা হয়নি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু‘দেশের মধ্যে ৮০ থেকে ১০০ ট্রাক আসা যাওয়া করেছে। পণ্যজটের পাশাপাশি যানজটও রয়েছে বন্দর এলাকায়। রবিবার অফিস খুললে দ্রুত পণ্য খালাস হলে সে জট কমতে থাকবে বলে তিনি জানান।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শারদীয় দুর্গাপূজার কারণে ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিলো।
শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি পুনরায় চালু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ভারতীয় বন্দর এলাকা ও বনগাঁও পার্কিং এ দাঁড়িয়ে আছে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার সাইফুর রহমান মামুন জানান, শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। তবে ট্রাক সংখ্যা অনেক কম।
আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে দু’দেশের বন্দর এলাকায়।