
বেত্রাবতী ডেস্ক।।লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়ে নানামূখি কাজ করে যাচ্ছেন খোরশেদ আলম চৌধুরী।
তাঁর এ মহতি উদ্যোগের কারণে প্রসংশায় ভাসছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে। ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে অধিকতর সহজীকরন হওয়ায় সেবা প্রার্থীরাও সেবা নিতে কোন বিড়ম্বনা হয়না।
তিনি গত ২৯ মার্চ লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে লোহাগাড়ায় যোগদান করেছেন। যোগদানের পর থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
অনলাইন হোল্ডিং ট্যাক্স ও খারিজ খতিয়ান এন্ট্রির লক্ষ্যে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সকল অফিসের সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করেন।উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্র ও ফাইল সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য আলমারী সহ আসবাবপত্র ক্রয় করেন এবং অনলাইনে নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য ওয়াইফাই স্থাপন করেছেন।
নিয়মিত শুনানির মাধ্যমে মিছকেস ও নামজারী কেস দ্রুত নিষ্পত্তি করেছেন, ফলে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাগব হয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকল্পে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সর্বস্তের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
শতভাগ অনলাইন নামজারীর বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগনকে সেবা দেওয়াটা হচ্ছে আমার কাজ। জটিল ভূমি সমস্যা সমাধান করতে বাদি ও বিবাদির দীর্ঘ শুনানীর মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যেসকল কর্মচারী বিভিন্ন অন্যায় ও অনিয়ম কাজে জড়িত ছিলো এবং সরকারী দায়িত্ব পালিনে অপারগতা ছিলো, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।