নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে কোনো দিনই ‘সহবাস’ শব্দটি ব্যবহার করেননি বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন নুসরাত জাহান।
নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে গিয়ে নিখিলের পাঠানো আইনি নোটিশের দুইটি লাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি।
তাতে লেখা আছে, ‘ইন দ্যা সারকামসটেন্সেস দ্যা প্লেইনটিফ ইজ অলসো নট ইন অ্যা পজিশন টু কন্টিনিউ দ্যা রিলেশন অর দ্যা ইউনিয়ন অর দ্যা লিভ ইন রিলেশনশিপ।’
অর্থাৎ, নুসরাত বলতে চেয়েছেন- নিখিলই প্রথম ‘লিভ ইন’ বা ‘সহবাস’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি নন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে নিখিল পাল্টা বলেছেন, ‘আমি সহবাস শব্দটা ব্যবহার করবো কী করে? আমি তো নিজে ওকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছিলাম!
নুসরাত আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো। আমি ওকে বের করে দেইনি। যখন বুঝলাম ও যশের সঙ্গেই এখন থাকবে। তখন আইনি নোটিশ পাঠাই।’
প্রসঙ্গত, এই ধরনের মামলায় আইনি নোটিশ দিলে সেখানে ‘পরিস্থিতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আইনের মাধ্যমে যদি কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়, তাহলে আইনি ভাষায় পরিষ্কার জানাতে হয় সেই ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক, মিলন বা সহবাস করা সম্ভব নয়। সুতরাং ‘সহবাস’ শব্দটি আইনি ভাষায় ব্যবহার করা সঙ্গত।
নিখিল বলছেন, পুরো আইনি নোটিশটি দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। নোটিশের প্রথম লাইনেই দেখা যাবে ‘আমি নুসরাতকে বিয়ে করেছি।’
নিখিল আরো বলছেন, তার স্কুলের ছোটবেলার বন্ধুকে নিয়ে যে ধরনের শারীরিক সম্পর্কের কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা ন্যক্কারজনক।
সেই বন্ধুটির বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে বন্ধুর যৌন সম্পর্কের যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, তাতেও ক্ষুব্ধ নিখিল।
তার কথায়, ‘ও আমার ছোটবেলার বন্ধু। ওর পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠতা। সেই ঘনিষ্ঠতা নিয়েই এতো নোংরা ব্যাখ্যা করা হলো?’
নিখিল মনে করেন, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরাতের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাদের সন্তান ঈশান জন্ম নিয়েছে। নুসরাত পরিবার পেয়েছে। তা নিয়ে সুখে থাকুক। আমার সম্পর্কে এসব বলে ও কী প্রমাণ করতে চাইছে?’