দেশে গত একদিনে মহামারি করোনাভাইরাসে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন ও সিলেট বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ সবসময় মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষে থাকা ঢাকা বিভাগে কারো মৃত্যু হয়নি করোনায়।
ঢাকাসহ মোট ৪ বিভাগ আজ মৃত্যুহীন। এর আগে, গত ২০ অক্টোবর ১৯ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মৃত্যুশূন্য থাকে ঢাকা বিভাগ।
সবশেষ ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা বিভাগ মৃত্যুহীন ছিল। গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর একদিনও মৃত্যুহীন ছিল না ঢাকা বিভাগ। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ২৭ হাজার ৮৩৪ জনের, যার মধ্যে ১২ হাজার ১৩৪ জন ঢাকা বিভাগের।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপপ্তর জানায়, গত একদিনে ২৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাতে শনাক্তের হার ১.৪৪ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ১৮৪ জনের। এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার ১০৭টি নমুনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৭ জন, যাতে মোট শনাক্তের হার ১৫.২৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ জন ও নারী ১ জন। ঢাকা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে কেউ মারা যায়নি। এছাড়া, গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৪০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৩২ হাজার ১৮০ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষদিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া, দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষদিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই করোনার প্রকোপ নিম্নমুখী ছিল। অক্টোবরেও তা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, দেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে। যেকোনো সময় করোনা আবার জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।