ঢাকাশুক্রবার , ১৫ অক্টোবর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষাঙ্গন
  13. সারাদেশ
  14. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুমার নামাজ কেন এতো মর্যাদাপূর্ণ?

Arifuzman Arif
অক্টোবর ১৫, ২০২১ ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জুমার দিনের গুরুত্ব প্রতিটি মুসলমানদের নিকট অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ও রাসূল (সাঃ) তার বাণীতে দিনটির ফজিলত সম্পর্কে বলেছেন। ফলে জুমার দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা।

এ দিনের নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জন্য বিশেষ ইবাদত। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ দান করেন। যে নেয়ামত ও অনুগ্রহে বান্দার মর্যাদা বেড়ে যায়। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ পড়া জরুরি।

যারা অলসতাবশত, ইচ্ছাকৃতভাবে জুমার নামাজ থেকে বিরত থাকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের জন্য রয়েছে মারাত্মক শাস্তির ঘোষণা। জুমআর নামাজ আদায়ের ব্যাপারে আগ্রহ না দেখিয়ে শুধু কাজ-কর্মে যারা নিজেদের ব্যস্ত রাখে, আল্লাহ তাআলা সেসব বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান না।

জুমার দিনের ফজিলত অনেক বেশি। আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমা বা জুমার দিন বলা হয়।

রাসূল (সাঃ) ঘোষণা করেন-‘যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমআ কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহ তাআলা মোহর মেরে দেন, তার অন্তরে হেদায়েতের নূর প্রবেশ করার কোনো সম্ভবনা নেই। আর যে ব্যক্তি হেদায়েতের নূর থেকে বঞ্চিত সে ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

অপর এক হাদিসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা বলেন, ‘যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।’

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, ইচ্ছাকৃত জুমা পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তি পুরোপুরি গোমরাহ করে দেন। হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করেন। (নাউজুবিল্লাহ) অন্য হাদিসে এসেছে-

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো- ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।

মহান আল্লাহতায়ালা সবাইকে নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করে ভয়াবহ শাস্তি থেকে সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।