
মিজানুর রহমান মিনু কাজিপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।কাজিপুরের তেকানী ইউনিয়নের পানাগাড়ী এলাকায় যমুনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হওয়ায় ভাঙ্গন কবলিত প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলির মধ্যে পানাগাড়ী, তেকানী, চরকান্তনগর, মানিকদিয়াড়,পারখুকশিয়া, আদিত্যপুর,কিনারবেড়,হরিনাথপুর, মেছড়া অন্যতম।
সোমবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত বছরের বন্যার শুরুতে যমুনার একটি শাখা নদীর প্রচন্ড ভাঙ্গনে তেকানীর পানাগাড়ী এলাকায় সপ্তাহান্তের ব্যাবধানে সরকারী আধা সরকারী মিলে শতাধিক স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এতে করে দেড়শো একর জমি সহ কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিসাধিত হয়। শুধু তাই নয় কাজিপুর সহ পাশ্ববত্তী মেছড়া ইউনিয়নের বেশ কটি গ্রাম ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়ে।পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে মানুষ জন
তেকানীতে যমুনার শাখা নদীর বামতীর রক্ষা বাধের দাবীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের নিকট জোর দাবী জানান।সেই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরু থেকে পানাগাড়ী ফ্লাড সেন্টার বেরিবাদ থেকে তেকানীর মধ্যে চর পর্যন্ত বামতীর রক্ষা বাধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ৩ পয়েন্ট ৫ পাঁচ কিলোমিটার ও ৫০ ফিট প্রস্থ, ২শ ফিট গোড়া ও ২৫ ফুট উচ্চতা রেখে বাঁধটির নির্মাণ কাজ চলছে। বাঁধ টি ইতিমধ্যে ৮০ পার্সেন্ট কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মৌসুমে শেষ হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় লোকজন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বাধটির সার্বক্ষনিক তদারকিতে নিয়োজিত তেকানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বিএসসি জানান, বাধ নির্মাণ হলে উত্তরে খাসশুরিবেড় হতে দক্ষিণে মেছড়া পর্যন্ত প্রায় ৮-১০ টি গ্রাম ও জনপদ ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা হবেএবং প্রায় সাড়ে ৭হাজার হেক্টর নদী সিকস্তি ফসলীজমি আবাদী জমিতে পরিনত হবে।
স্থানীয় মুরুব্বি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনর রশিদ জানান বাঁধ টি রক্ষা করতে হলে বাধের ভাটি অংশে ভর্তি জিও ব্যাক ডাম্পিং করতে হবে। তেকানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিবন চাকলাদার জানান যমুনার ভাঙ্গন রক্ষার্থে এই বাধ টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় জানান, বাবার জীবদ্দশায় যমুনার ডান তীর সংরক্ষণ করে কাজীপুরকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করেছেন। বাবার নিকট ডান তীরের ন্যায় বাম তীর ও রক্ষা করার দাবি ছিল জনগণের। বাবা আজ নেই কিন্তু বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ।
