মিজানুর রহমান মিনু কাজিপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।বর্ষীয়ান রাজনীতিক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাবেক সমন্বয়ক-মুখপাত্র, সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী ১৩ জুন ২০২৪।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নাসিম ২০২০ সালের ১৩ জুন মারা যান।২০২০সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর স্ট্রোকে মোহাম্মদ নাসিমের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছিল, সেই সংকট আর কাটেনি।
দীর্ঘ ১০ দিন ধরে হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২০২০ সালের ১৩ জুন মারা যান রাজনীতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।
১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কুড়িপাড়ায় জাতীয় চার নেতার একজন শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও মা বেগম আমেনা মনসুরের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ নাসিম।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এম মনসুর আলী স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।এম মনসুর আলী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার কারণে কারাগারে প্রাণ দিতে হয় ঘাতকের বুলেটে।আর তার সন্তান মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পিতার মতো তিনিও সাহসী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল, ত্যাগী ও রাজপথের একজন সাহসী যোদ্ধা।গত শতকের ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২১টি বছর সামরিক ও খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম।এ কারণে রাজপথে তাকে বারবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়, কারাগারেও যেতে হয় বারংবার।ছাত্ররাজনীতি ছাড়ার পরে যুবলীগের রাজনীতি করলেও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
ঐ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন।এরপর ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন, ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরিবার ও আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে ।