মিলন কবির।।বিশ্ব ব্যাংক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে টিএমএসএস কর্তৃক সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর আওতায় “পরিবেশবান্ধব ফিশারীজ উদ্যোগ উন্নয়ন” উপ-প্রকল্পটি বগুড়া, নাটোর, মংমনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জেলার ১৩ টি উপজেলার ১৭ টি শাখার মাধ্যমে জুলাই ২০২১ ইং হতে বাস্তবায়ন করে আসছে।
“পরিবেশবান্ধব ফিশারীজ উদ্যোগ উন্নয়ন” উপ-প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য উদ্যোক্তার দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, মান সম্পন্ন খাদ্য ও পোনা প্রাপ্তি, পরিবেশবান্ধব টেকসই মৎস্য চাষ প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্তকরণ, উৎপাদিত পন্য প্রিমিয়াম মার্কেটে বিপণন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন।
উদ্যোক্তার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩ টি বিষয়ভিত্তিক ২৫৫ ব্যাচে ৭২০১ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। টেকসই মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ১১০ জন উদ্যোক্তাকে উন্নত প্রযুক্তির প্রদর্শনী, ১৩ জন উদ্যোক্তাকে পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্রদান এবং ২৫ জনকে পরিবেশবান্ধব মডেল লিড উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। মাছের খাদ্যে আমিষের বিকল্প হিসেবে কালো সৈনিক মাছির লার্ভা উৎপাদনে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জে একটি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয় যার মাধ্যমে আশানুরুপ উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে। প্রকল্পে ১৪ টি কার্পজাতীয় মাছের সাথে মুক্তাচাষ প্রদর্শনী প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো মাছের আঁশ (বর্জ্য) হতে জিলেটিন উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করে।
ফিশারীজ প্রকল্পে ২৭ টি মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। ২৮ টি পরিবেশ ক্লাবে অনুষ্ঠিত ৩৪৫ টি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা ও মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব বাজারজাত করণের লক্ষ্যে বগুড়া ও নাটোর জেলায় ৪ টি মাছ বাজার এবং ময়মনসিংহ জেলায় ১ টি পোনার বাজার সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে।
প্রকল্পের ১৭ টি শাখায় পানি পরিমাপক যন্ত্রসমূহ সরবরাহ করা হয়েছে যা উদ্যোক্তার পুকুরে পানির ভৌত-রাসায়নিক প্যারামিটার যাচাই ও এর মাত্রার উপর ভিত্তি করে করণীয় ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। প্রকল্পে একটি ওয়েবসাইট (যঃঃঢ়ং://ঃসংংংবঢ়ভরংযবৎরবং.ড়ৎম/) রয়েছে যার মাধ্যমে উদ্যোক্তাগন অনলাইনে মাছ ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও টেকসই ব্যবসা উন্নীতকরণের লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব হ্যাচারী প্রতিষ্ঠা, মৎস্য খাদ্য প্রস্তুতকরন এবং পরিবেশবান্ধব আধুনিক মৎস্য চাষ পদ্ধতি খাতে ৭৭ জন উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রকল্প হতে সহজ ও নমণীয় শর্তে ১.৯৭ কোটি টাকা সাধারণ সেবা এবং ১৮৮৯ জনকে ৩০.৪৮ কোটি টাকা এসইপি-অগ্রসর ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।