বেত্রাবতী ডেস্ক।। যশোরের বেনাপোলে অপহৃত সুমন হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে প্রধান আসামী কামালসহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি) পুলিশ। এসময় লাশ পরিবহনের প্রাইভেটার সহ হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামতও জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসা্মীরা হলো- বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড় আঁচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ কামাল হোসেন (৪০), সাদীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইজাজ ও একই গ্রামের রফিজুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল (২৯)।
পুলিশ সূত্র জানা যায়,গত (১১ নভেম্বর)স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং কর্তৃক বেনাপোল থেকে ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬), পিতা ওসমান গনি, সাং-টেংরালী, থানা-শার্শা, জেলা- যশোরকে অপহরণ পূর্বক হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় যশোর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দশে মাঠে নামে যশোর জেলা ডিবি পুলিশ।
ডিবি’র এসআই মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই শামীম হোসেন, শফি আহম্মেদ রিয়েলদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামীদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার সময় ঢাকার আশুলিয়া কাঠগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী কামালসহ অন্যতম সহযোগী আসামী এজাজ ও ইসরাফিলকে গ্রেফতার করে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল স্থল বন্দর বাস টার্মিনাল এর সামনে থেকে অপহৃত সুমনের মৃতদেহ গুমের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং ঘটনাস্থল থেকে ঘরের ছাদ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ, প্লাস উদ্ধার পুর্বক জব্দ করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরা কারবারীদের ৩৫টি বার অনুমান ৩ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং ভিকটিম সুমনকে সন্দেহে আটক করে মারধর করে স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরা সদর থানাধীন রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ -মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১২টার সময় মাগুরা রামনগর থেকে ভিকটিম সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ