
বিশেষ প্রতিনিধি।। আসন্ন কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে যশোরের শার্শায় প্রস্তুতি নিচ্ছে গরুর খামারি সহ গৃহে পালন করা বিভিন্ন সাইজের নানা জাতের বাহারি গরু।
যে যার মতো অতি যত্নে কুরবানিতে নিজেদের গরু মোটাতাজা করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো গৃহে পালন করা নানান জাতের গরু পালন করে তাদের বাহারি রকমের নামও দিচ্ছেন গরুর মালিকেরা।
তেমনি একটি গরুর সন্ধান মিলেছে শার্শার কণ্যাদহ গ্রামে। গরুটির নাম রাখা হয়েছে “লালু পালোয়ান”। গরুটির প্রকৃত মালিক কণ্যাদহ গ্রামের বাবুল হোসেন হলেও গরুটির সার্বক্ষনিক লালন পালন ও দেখভাল করেন বাবুল হোসেনের স্ত্রী আসমা খাতুন।
আসন্ন কুরবানিতে নিজের অতি আদর যত্নে লালন পালন করা “লালু পালোয়ান”। দাম হাঁকিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। ওজন যাই হোক আসমা খাতুনের কাঙ্খিত দাম পেলেই বিক্রি করতে চান লালুকে।
আসমা খাতুন দম্পত্তির বিশাল আকৃতির “লালু পালোয়ান” নামে গরুটি দেখার জন্য প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন।ছুটছেন গন মাধ্যম কর্মীরা।
আসমা খাতুন বলেন, গত আড়াই বছর ধরে দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার ঘাস, খৈল, ভূষি, রাইস পলিস, ভূট্রার কুড়া ইত্যাদি খাবার দিয়ে আমরা লালুকে বড় ও মোটাতাজা করেছি। লালুর প্রতি অনেক মায়াও তৈরি হয়েছে। কুরবানির জন্য লালুকে প্রস্তুতি করা হলেও তাকে বিক্রি করতে হবে এ কথা ভেবেই চোখে জল চলে আসছে।
আসমা খাতুনের স্বামী বাবুল হোসেন বলেন, আমাদের “লালু পালোয়ান” এই এলাকার সব থেকে বড় গরু। বাড়িতে রেখেই তাকে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। কাঙ্খিত দাম পেলেই বিক্রি করবো। আশা করছি এই কুরবানিতে “লালু পালোয়ান ক্রেতার জন্য খুবই লাভবান ও উপযোগী গরু হবে।