বেত্রাবতী ডেস্ক।। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথম বারের মত ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে এবার যশোর জেলার শার্শা উপজেলার হিমসাগর আম। বিদেশে আম পাঠাতে পেরে খুশি স্হানীয় আমচাষীরা। এসিআই লজেষ্টিকের সহায়তায় এই প্রথম যশোরের শার্শা উপজেলা থেকে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম ইউরোপের দেশ সুইডেনে রপ্তানি করা হচ্ছে। আমের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় রপ্তানিও বাড়বে বলে জানা যায়।
এবছর শার্শা উপজেলা থেকে একশ টন আম ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে যাবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতর ও রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান এসিআই লজেষ্টকের প্রতিনিধি।
রোববার (১৪মে) আনুষ্ঠানিকভাবে হিমসাগর আম রপ্তানির উদ্দেশ্যে আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলার বাইকোলা গ্রামের চাষি আবু নাঈমের বাগান থেকে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে প্রথম চালানের ১০০০কেজি আম পাঠানোর জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে হিমসাগর আম সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে পাঠানো হবে ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম।
উদ্বোধনের দিনে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসিআই লজেষ্টকের প্রতিনিধি হাদিউজ্জামান শাহিন বলেন, আম সংগ্রহের জন্য সরাসরি বাগানে এসেছি। প্রথম দিন ১হাজার কেজি আম সংগ্রহ করতে পেরেছি।যশোরের হিমসাগরের অনেক সুনাম রয়েছে। সংগ্রহ করা এ হিমসাগর আম প্রথমে সুইডেনে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে আরও একশ টন আম সংগ্রহ করে ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল,সহকারী কৃষি সম্প্রারণ অফিসার রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারি উদ্ভীদ সংরক্ষন অফিসার ফরহাদ শরিফ,উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিছুর রহমান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হাদিউজ্জামান শাহিনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্হানীয় আমচাষীরা।
উপস্হিত আমচাষীরা জানান,বাগান থেকে সরাসরি আম বিক্রি করে দামও বাজার তুলনায় আশানুরূপ বেশী পাচ্ছি। আগামীতে এধারা অব্যাহত থাকলে আম চাষে অধিক লাভের সম্ভাবনাও বেশী থাকবে।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান, উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে।আমের বাম্পার ফলন ও হয়েছে।তার মধ্যে একশ টন আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হবে। এর মধ্যে এই প্রথম চালানে ১হাজার কেজি হিমসাগর আম ইউরোপের দেশ সুইডেনের বাজারে যাচ্ছে ।পরবর্তীতে ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে।উপজেলা থেকে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত আমসহ অন্যান্য সবজির ধারাবাহিক রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।