বেত্রাবতী ডেস্ক।। শার্শার আমলাই গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে লতা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মৃত আকরামের ছেলে তৌহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আহত লতা খাতুনের স্বামী মোফাজ্জেল হেসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী উপজেলার আমলাই গ্রামের মৃত আকরামের ছেলে তৌহিদ হোসেনের সাথে দীর্ঘদীন ধরে নানা বিরোধ চলে আসছে।সোমবার ১লা মে) দুপুরে মোফাজ্জেলের একটি গরু তাদের সীমানা পিলার ভেঙ্গে ফেলে।এসময় প্রতিবেশী তৌহিদ হোসেন মোফাজ্জেলের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রী লতা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এবং মারতে উদ্যত হয়।এসময় স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও চড় থাপ্পড় মেরে ফোলা জখম করে চলে যায়। কিছুক্ষন পর তৌহিদ তার গোগা গ্রামস্থ শ্বশুর ইসমাইল ও শ্যালক রনিকে সংবাদ দিয়ে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বাশের লাটি ও কাটের বাটাম দিয়ে মোফাজ্জেল ও স্ত্রী লতা খাতুনকে এলো পাতাড়ি মারপিট করে মারাত্নক জখম করে গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী মারাত্মক আহত লতা খাতুনকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।লতা খাতুনের মাথায় ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান,তুচ্ছ ঘটনায় তারা দুই পক্ষ প্রথম দফায় গন্ডগোল বাঁধালে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে চলে আসার পর তৌহিদের শ্বশুর ও শালক পূনরায় এসে আবারও হট্টগোল বাঁধালে গ্রামবাসী চড়াও হয়।পরে আমি তৌহিদের শ্বশুর ও শালককে ক্লাবে ডেকে নিয়ে আসি এবং আহত মোয়াজ্জেম এর স্ত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল বলেন, অভিযোগে পেয়েছি।তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আরিফুজ্জামান আরিফ, অফিস: বাগআচঁড়া,যশোর
Copyright © 2025 বেত্রাবতী নিউজ২৪. All rights reserved.