বেত্রাবতী ডেস্ক।।অর্ধেকের বেশি ইউরোপিয়ান নাগরিক গাঁজার বৈধতা চান। এ ছাড়া ৩০ শতাংশ ইউরোপিয়ান গাঁজা কিনতে আগ্রহী।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কনসালটেনসি প্রতিষ্ঠান হ্যানওয়ে অ্যান্ড পট প্রোডিউসার কিউরালিফ ইন্টার ন্যাশনালের এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জরিপে উঠে এসেছে, বেশির ভাগ ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রিত গাঁজার দোকান সমর্থন করলেও বেশির ভাগই বাড়িতে গাছটি উৎপাদনের পক্ষে নন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে, করোনায় লকডাউনের সময় গাঁজার ব্যবহার বেড়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে ইউরোপের উদারপন্থা আর্থিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সুবিধা পেতে পারে।
কিউরালিফ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী বরিস জর্ডান বলেছেন, ‘আমরা ইউরোপীয় গাঁজার বাজারকে তিন থেকে চার বছর পিছিয়ে দেখছি। তবে বাস্তবে মনে হচ্ছে, ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগে ব্যাপক সংস্কার শুরু করতে পারে।’
এরই মধ্যে জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ চিকিৎসার জন্য গাঁজার সীমিত ব্যবহার বৈধ করেছে। তবে অন্যরা এর সাধারণ ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মাল্টা হলো ইউরোপের প্রথম দেশ, যারা গাঁজা উৎপাদন এবং এর ব্যক্তিগত ব্যবহার বৈধ করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের ভেতরে সবচেয়ে বড় গাঁজার বাজার জার্মানি। ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরোপের গাঁজার বাজার ৩ বিলিয়ন ইউরো অতিক্রম করবে, যা গত বছর ছিল ৪০০ মিলিয়ন ইউরো।
কিউরালিফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জো বেয়ার্ন বলেছেন, গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধ করার জন্য জার্মানিতে স্পষ্ট রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। পরে জার্মানি ইউরোপের বাকি অংশে গাঁজার বাজার প্রসারে ব্যাপক প্রভাব রাখবে।