
বেত্রাবতী ডেস্ক।।যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, কিছু মানুষের পৃথিবীতে আসা একেবারেই আবশ্যক। কারন জাতির জনক বাংলাদেশে এই পবিত্র ভূখন্ডে এসেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন এই দেশের সাড়ে কোটি মানুষের অন্তরে আত্নায় মরমে চিন্তায় স্বপ্নে।
এই মানুষটি এসেছিলেন কেন ? এসেছিলেন তৃষ্ণার্ত একটি ভুমিকে স্বাধীন করার জন্য। তিনি এসেছিলেন এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তিনি এসেছিলেন এদেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র ,স্বাস্থ্য বাসস্থান. শিক্ষা, চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য। আমি সেই নেতার কথা বলছি যে নেতা ছিল নিরংহার, যে নেতার চিন্তা ছিল দেশ প্রেম। যে নেতা চিন্তা করত এদেশের মানুষকে নিয়ে। যে নেতা ভালবাসতেন এদেশের মানুষকে। ভাল বাসতেন এদেশের নদী নালা খাল বিল,শিক্ষা, সাংস্কৃতি, কবিতা, শিল্প, সাহিত্য ও সকল ধর্মের মানুষ ও সাংস্কৃতিক এর প্রতি ছিল অকৃত্রিম দরদ ও মমতাবোধ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতিয় শিশু দিবস উপলে কথাগুলো বললেন শার্শা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় শার্শা উপজেলা আাওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতির জনক এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও জাতীশ শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুল আলম।
এসময় প্রধান অতিথি মেয়র আশরাফুল আালম লিটন বলেন, দেশকে ভালবেসে জাতির জনকের পরিবার যত রক্ত দিয়ে গেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাষ্ট্র নায়ক এত রক্ত দেয়নি। জাতির জনক কখনো রাজনৈতিক ভাবে প্রতারণা করেনি। যে নেতার কোন সম্পদের লোভ ছিল না, যে নেতা কখনো নিজের মতা লালসার জন্য রাজনীতি করেনি। ছোট বেলায় মুষ্টি মুষ্টি করে চাল নিয়ে তার সহপাঠিদের লেখা পড়ার খরচ যুগিয়েছে। তিনি অসহায় মানুষকে নিজের গায়ের কাপড় পর্যন্ত দিয়েছে। আমি সেই নেতার কথা বলছি। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি ১৯৭০ সালের সিরাজগঞ্জের ভয়ংকর এক বন্যার সময়ের উদাহরন টেনে বলেন, জাতির জনককে দেখার পাগল মনু মিয়া ও আব্দুল হাই গভীর রাত পর্যন্ত বসে ছিল। আব্দুল হাইকে সাপে কাটল। বঙ্গবন্ধু খবর পেয়ে সারারাত তাকে নিয়ে ডাক্তার বাড়ি ওষুদের দোকানদার এর বাড়ি ঘুরে রাত জেগে চিকিৎসা দিয়ে সকালে জ্ঞান ফিরলে ট্রেনে চেপে ঢাকায় ফেরেন। আমি সেই নেতার কথা বলতে এসেছি। যে নেতা গনমানুষকে ভালবাসে। যে নেতা একটি নতুন কবিতার জন্য লড়াই করেছে। যে নেতা শ্রমিকের ঘামের জন্য কৃষকের জন্য লড়াই করেছে। আমি সেই নেতার কথা বলতে এসেছি। তিনি ছোটবেলা থেকে বার বার জেল খেটেছেন। একটি বারও নিজের লাভ লালসার জন্য নয়, একটি বার ও নিজের পরিবারের জন্য নয় একটিবার ও নিজের মাতার জন্য নয়। তিনি জেল খেটেছেন এদেশের দুঃখী মানুষের কথা বলতে গিয়ে। ৪ হাজার ৬ ৮২ দিন জেল খেটেছেন। এই নেতা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর জন্য আন্দোলন করে জেল খেটেছেন। আমরা সেই নেতার রাজনীতি করি। যেখানে তিনি তার কর্মীদের লোভ লালসা থেকে দুরে থাকতে বলেছে। তাদের আদর্শের রাজনীতি করতে শিখিয়েছেন।
মেয়র লিটন বলেন আমরা জাতির জনক ও শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতি করি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের অর্থ দিয়ে মতা দিয়ে আদর্শ থেকে বিচ্যুৎ করতে পারবেন না। প্রশাসনের মধ্যে অনেকে ঘাপটি মেরে আছেন যারা আওয়ামীলীগের আদর্শের কর্মীদের প্রভাবশালী লোকদের প্ররোচনায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমরা শার্শায় কোন অপশক্তিকে জাতির জনকের আদর্শ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে দিব না। যত সময় পর্যন্ত আওয়ামীলীগের পরিবারে হাতে আওয়ামীলীগের মতা না ফিরিয়ে দিতে পারব তত সময় আমরা লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আমরা কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় পাব না। তারাই প্রমান করে আজকের জাতির জনকের জন্মবার্ষিকীতে শার্শার মানুষের এত উপস্হিতি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ , শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক বকুল, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, বনও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, শার্শা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খতিব আমেনা বেগম, সাধারন সম্পাদক শারমিন আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি খাতুন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আছাদুজ্জামান হাই, সাবেক ছাত্র নেতা রুহুল কুদ্দুস ভুইয়া, উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, লক্ষনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার সরদার, কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আলিম রেজা বাপ্পী,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাধন কুমার গোস্মামী,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম,১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক,বেনাপোল পৌর আওয়ামী নেতা মোজাফফার হোসেন, পৌর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদক আছাদুজ্জামান আশা সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ছাত্রলীগ সহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।
অনুষ্টানটি সঞ্চালনা করেন বেনাপোল পৌর যুব লীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ।