গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে বেজপাড়া চোপদারপাড়ার ব্রাদার্স ক্লাবে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ইয়াসিন মাওলানা মনিরুজ্জামান মনিরের ছেলে।

হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসকিন আলম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চোপদারপাড়ার ব্রাদার্স ক্লাবে বসে ইয়াসিন ক্যারামবোর্ড খেলা করছিল। এ সময় রাত ৮টার দিকে পূর্বশত্রুতার কারণে একই এলাকার স্বর্ণকার রানা তার ভাই রুবেল ও সুমন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে তিনি মারা যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাহাউদ্দিন বাহার জানান, ‘ক্লাবে বসে খেলার সময় ১০-১২ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপরি কোপায়। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাই এবং সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।’

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন বাবু জানান, হাসপাতালে আনার পরই ইয়াসিনের মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। প্রতাক্ষ্য দর্শীদের কাছ থেকে কয়েক সন্ত্রাসীর নাম জানা গেছে। তাদের আটকে পুলিশ কাজ করছে।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসকিন আলম জানান, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন মারা গেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসার লে. কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে স্বজনদের সাথে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছি। যারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।