এটি খুব দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে পুরো বিশ্বেই। তাই সতর্ক থাকা জরুরি, বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ অজান্তেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কারও শরীরে প্রকাশ পাচ্ছে সাধারণ লক্ষণ আবার কেউ উপসর্গহীন। এমন রোগীরা করোনা থেকে মুক্তি পেলেও পরবর্তী সময়ে ভুগছেন শারীরিক নানা সমস্যায়। যাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন লং কোভিড।
ওমিক্রনের ক্ষেত্রে যদিও শরীরে তেমন গুরুতর কোনো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে না। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা দিয়ে শুরু হয়ে কিছুদিনের মধ্যে আবার সেরেও যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রোগী ৭-৮ দিন আইসোলেশনে থাকার মাধ্যমে ঘরেই নেগেটিভ হচ্ছেন বেশিরভাগই।
তবুও সবাইকে ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই ভাইরাস কখন কার শরীরে তাণ্ডব চালাবেন তা বোঝা মুশকিল।
ওমিক্রনের লক্ষণ সাধারণ সর্দি-কাশির মতো। এ কারণে অনেকেই রোগটিকে সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে ফেলে রাখছেন। এতে রোগ নির্ণয় কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ছাড়াও শরীরের দুটি জায়গায় ব্যথা হলেও ওমিক্রনের লক্ষণ হিসেবেই ধরে নিতে হবে। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে পায়ে ও কাঁধে ব্য়থা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে অন্যান্য করোনা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সমস্যা না দেখা গেলেও এই ভ্যারিয়েন্ট এমন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কাঁধে ও পায়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যেই।
ব্রিটেনের জোয়ে কোভিড অ্যাপের মাধ্যমেই সম্প্রতি উঠে এসেছে এই তথ্য। এক্ষেত্রে পায়ে ও কাঁধের পেশিতে ব্য়থা হচ্ছে বলে জানানো হচ্ছে।
বিভিন্ন রোগীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই ব্য়থার অনুভূতি নানা মানুষের কাছে বিভিন্ন রকম হয়ে ফুটে উঠছে। কেউ কেউ বলছেন, শরীরের ওই অংশটি অবশ হয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যথা অনেকটাই সুচ ফোঁটানোর মতো। অপর দিকে কাঁধের ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যথা হয়ে উঠছে তীব্র। হাত নড়ানোও অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাত ও কাঁধে ব্যথা একসঙ্গে হচ্ছে না। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা একসঙ্গেই দেখা দিচ্ছে। তাই সতর্ক থাকা ছাড়া কোনো গতি নেই।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/লাইভমিন্ট