
বিল্লাল হুসাইন।।যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ও বাঁকড়া ইউনিয়নের বিল কচুয়ার জলবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার সকালে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে পানি নিষ্কাশন করে জমি চাষ উপযোগী করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
অপরিকল্পিত মাছের ঘের তৈরির কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিল কচুয়ার কয়েক হাজার বিঘা জমিতে কোন ফসল হচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করার দাবী করে লিখিত দরখাস্ত করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।
সেই দাবীর ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুবুল হক,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুবনা তাক্ষী, হাজিরবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন।
তাদের আগমনের খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এসে তাদের ক্ষতির কথা তুলে ধরেন এবং খুব দ্রুত পানি নিষ্কাশন করে জমি ইরি ধান চাষের উপযোগি করার দাবী জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগ নেতা রফিকুল উসলাম বাপ্পি, ইমামুল হাসান জগলু, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন মধু, ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান, শিপন হোসেন, এরশাদ আলী, রেজাউল করিম, আব্দুস সামাদ দপ্তরী, শাহাবাহ মোড়ল প্রমূখ।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় মাছের ঘের মালিকদের সাথে কথা বলেন এবং পানি নিষ্কাশন করে জমিতে ইরিধান চাষের উপযোগি করতে কিভাবে পানি সরানো যায় তার জন্য আগামী শনিবার সকালে উপজেলায় মাছের ঘের মালিকদের সাথে কথা বলবেন এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া বিল কচুয়ার হাজার হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খাল খনন করার জন্য আশ্বাস ও দেওয়া হয়েছে।
ম্যাপ করে প্রজেক্ট নির্ধারণ করে বিল কচুয়া থেকে খলশী খালের সাথে একটি সংযোগ খাল খনন করা হবে। ঘটনাস্থলে বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক শফিকুর রহমান, মফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান, আবুল কালাম, ফারুক হোসেন, রবিউল ইসলাম, জুয়েল রানা, আজিবর রহমান, এরশাদ আলী, মিজানুর রহমান, আনিসুর রহমান, জিনাত আলী ও মোমেনা বেগমের সাথে কথা হয়।
তারা জানান, উপজেলার সবচেয়ে বড় বিল এটি। হাজিরবাগ, বাঁকড়া ও শংকরপুর ইউনিয়নের কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা জমি আছে এখানে।
একসময় বিল কচুয়া ছিল নানান ফসলের অভায়ারণ্য। কিন্তু অপরিকল্পিত মাছের ঘের তৈরি করার জন্য বিল কচুয়া এখন জলাবদ্ধতায় আটতে থাকে। গত ৫-৬ বছর এখানে জমিতে কোন ফসল ফলাতে পারছে না কৃষকরা।
এতে করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করলে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে এবং কৃষিকাজ করে ভালভাবে সংসার চালাতে পারবে বলে জানান।