

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ২০৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৫৪ রান তুল খুলনা টাইগারর্স। ১৮তম ওভারে করতে বল হাতে আসেন চট্টগ্রামের উদীয়মান পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। প্রথম দুই বলে একটি ছয় এবং একটি চার হাঁকান খুলনার ওপেনার এনামুল হক।
মৃত্যুঞ্জয়ের করা ওভারের তৃতীয় বলে রবি বোপারার হাতে ক্যাচ তুলে দেন এনামুল। পরের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর ওভারের পঞ্চম বলে রবি বোপারা বোল্ট হলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। ২০ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৬ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন এনামুল হক। এছাড়া ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন কলিন ইনগ্রাম।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান সিলেটের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ব্যাট হাতে মাত্র ৮ রানেই ফেরেন ওপেনার কেন্নার লুইস। পরের উইকেটে আফিফ হোসনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে রীতিমতো ঝড় তুলেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস।
মাত্র ১৮ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। এরপর অবশ্য নিজের ইনিংসটা বড় করা হয়নি এই ব্যাটারের। ১৯ বলে সাত চার এবং তিন ছয়ের মারের ৫২ রানে আউট হন জ্যাকস। আর সাব্বির রহমান আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ রান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন আফিফ হোসেন। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার আউট হন ৩৮ রানে।
ইনিংসের শেষদিকে এবার ঝড় তুলেন হাওয়েল নিজেই। শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে করেন ৪১ রান। মাত্র ২১ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি দুটি চার এবং তিনটি চয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ৪ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক চট্টগ্রাম।