
কাজিপুর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।যমুনা নদীর ভাংগন কবলিত সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার একাধিক এলাকায় যন্ত্র চালিত বেকু মেশিন ও বাংলা ডেজার দিয়ে ভু গর্ভস্থ মাটি কাটার ধুম পড়েছে।
এতে করে ভাংগন কবলিত কাজিপুরে ভু প্রকৃতিতে ভয়াবহ বিপর্যের আশংকা করা হচ্ছে।
জানা গেছে,নদীভাংগন কবলিত কাজিপুরের সদর ইউনিয়নের মেঘাইয়ে ইতিমধ্যে একটি বালিমহল সরকারি ভাবে অনুমোদিত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অনুমোদিত বালি মহলে নিয়মের বাইরে একাধিক বালির পয়েন্ট নির্ধারণ করে কতিপয় অবৌধ বালি ব্যাবসায়ী যত্রতত্র বালি উত্তোলন করে চলেছে।
বালিবাহী ট্রাক যাতায়াতের কারণে রাস্তা ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ ঝুকিতে ও পরিবেশ ভারসাম্য হীন হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে বিলে এলাকায় উপজেলার সোনামুখি, চালিতাডাঙ্গা, ও গান্ধাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শক্তি শালী খনন যন্ত্র (বাংলা ডেজার) বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কর্তন করে কর্তনকৃত মাটি বাড়ি তৈরি ও ইটভাটায় যাচ্ছে।
স্থানীয় ভুমি মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাটি ব্যাবসায়ীরা কোন না কোন ভাবে কোন এক ভুমি মালিকে টাকার লোভ দেখিয়ে কোন জমিতে গভীর করে মাটি কাটার কারণে পাশ্ববর্তী জমির মালিকগন অনিচ্ছা সর্তেও অনেকটা বাধ্য হয়ে কমমূল্যে নিজেদের জমির টপসয়েল মাটি খেকো দের হাতে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, কোন জমির ভালো মাটি কেটে নেওয়া হলে দুই /তিন বছর অই জমির কাংখিত ফসল উৎপাদন হয়না ফলে খাদ্য ঘার্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত সোমবার কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী অনুরুপ একটি সংবাদের প্রেক্ষিতে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের লক্ষিপুর থেকে বেকুর ড্রাইভারকে আটকের পর মাটি কাটার পয়েন্টটি বন্ধ হয়ে যায়।
সচেতন মহল বিভিন্ন স্থানে মাটির পয়েন্ট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।