
বেত্রাবতী ডেস্ক।।শার্শায় জমিজমা সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছোট ভাই শেখ খোকনের হাতে বড় ভাই ইমাদুল শেখ(৭০) মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে।তার অবস্থা খুবি আশংকাজনক।
এ ঘটনার ৪ জনকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং-৮, তারিখ১০/১/২২ইং।
এঘটনায় শেখ খোকন কে প্রধান আসামী করে চারজনের একটি মামলা হয়েছে।মামলার অপর তিন আসামী হলেন,রাড়িপুকুর গ্রামের শেখ সহিদুল ইসলাম,শেখ মাসুদ রানা চঞ্চল ও শেখ রাকিবুজ্জামান সঞ্জয়।
এ ঘটনায় প্রধান আসামী খোকনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
রবিবার(৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার রাড়িপুকুর গ্রামের শেখ পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে,রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত শেখ ফজলে করিমের বড় ছেলে ইমাদুল হক শেখের সাথে তার আপন সহোদর ছোট ভাই শেখ খোকনের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো।উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে গত রোবরার সকাল সাড়ে ১০ টায় একই গ্রামের শেখ মশিউর রহমানের পারিবারিক কবর স্থানে বড় ভাই ইমাদুল শেখ কে একা পেয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছোট ভাই শেখ খোকন গং বাঁশের লাটি লোহার রড ও কুড়াল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।পরে ইমাদুল শেখের চিৎকারে কবরস্থানের আশেপাশে থাকা লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং ছোট ভাই খোকনকে জনতা আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
আহত ইমাদুলের স্ত্রী আনেছা জানান,আমার দেবরের (খোকন)সাথে আমার স্বামীর দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। ।ঘটনারদিন আমার স্বামী গ্রামে মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোড়া দেখতে কবর স্থানে গিয়েছিলো।আমার দেবর খোকন গং পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে একা পেয়ে লোহার রড বাশের লাঠি ও কুড়াল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।এলাকার লোকজন উদ্ধার করে আমাদের খবর দিলে আমরা তাকে প্রথমে যশোর সদর হাসপাতাল ভর্তি করি। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার থাকে রিফার্ড করলে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।তার অবস্থা আশংকা জনক।আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম খান জানান, এ ঘটনায় থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।প্রধান আসামীকে আমরা ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি এবং বাকি আসামী দের গ্রেফতারে জন্য এলাকায় অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।