
বাংলা জীবনমুখী গান মানেই যার কথা সবার আগে মাথায় আসে, তিনি হলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। নব্বই দশকের তার সব গান আজও তুমুল জনপ্রিয়।
বয়স নির্বিশেষে নচিকেতার গান থাকে সব সময় বাঙালি শ্রোতাদের প্রিয় প্লে-লিস্টে। নচিকেতা, একাধারে গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে মন জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের।
একক অ্যালবাম ছাড়াও গেয়েছেন বহু সিনেমার নেপথ্য সঙ্গীত। আর সবগুলো পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
বছরের শেষ দিকে এসে প্রকাশ পেল এই গায়কের নতুন গান। শিরোনাম ‘যে চোখে আমি’। গানটি তার সঙ্গে দ্বৈতভাবে গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী নাজ আহমেদ।
দেব প্রসাদ চক্রবর্তীর কথায় গানটির সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন কুন্দন সাহা। ২২ ডিসেম্বর অডিও-ভিডিও শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ-এর মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পেয়েছে।
গানটি ইউটিউবে অবমুক্ত হওয়ার পর এপার-ওপার দুই বাংলাতেই বেশ সাড়া ফেলেছে। প্রভাত কর নামের একজন মন্তব্য করে লিখেন, সত্যি অপূর্ব লাগলো গানটা। গুরু নচিকেতাকে অভিনন্দন রইল।
সুস্মিতা সুলতানা লিখেন, অসাধারন গায়কী। ভীষণ সুন্দর গান, মন ভরে গেল। লামিয়া আক্তার লিখেন, এককথায় অসাধারণ। অসম্ভব সুন্দর একটা গান হয়েছে।
জামান নামের একজন লিখেন, গানের লিরিকটা খুব সুন্দর। প্রতিটি কথা যেন হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়েছে। নচিকেতার সাথে তাল মিলিয়ে নাজ আপু গায়কীতে দুর্দান্ত মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। অপূর্ব একটা গান উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
‘জীবনমুখী’ গানের সূত্র ধরেই দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় নচিকেতা চক্রবর্তী। তার ‘নীলাঞ্জনা’, ‘অনির্বাণ’, ‘ডাক্তার’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানগুলো আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ঘোরে।
এদিকে, শ্রোতাপ্রিয় এই শিল্পীর নামে নির্মাণ হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। কলকাতার হাওড়া এলাকার আমতা নামের স্থানে শিল্পীর নামে ৮০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম তৈরি হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘নচিকেতা মঞ্চ’।
জীবদ্দশাতে শিল্পীর নামে কোনও প্রেক্ষাগৃহ আগে দেখা যায়নি বললেই চলে।