
ওমিক্রন সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার ফলে মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেই কোটি কোটি মানুষ আরেকটি বড়দিন উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে। কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের আশঙ্কায় পারিবারিক পুনর্মিলন ঘটার সম্ভাবনা কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছে।
সংক্রামক ওমিক্রন আবির্ভাব ঘটায় মহামারীটি যে শেষ হয়ে যায়নি তা বুঝিয়ে দিয়েছে। টানা দ্বিতীয় বছরেও সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সিডনি থেকে সেভিল পর্যন্ত বড়দিনের পরিকল্পনা জটিল হয়ে পড়েছে।
যীশুর জন্মস্থান বেথলেহেম নগরী পর্যটকদের আগমনের আশায় থাকলেও হোটেল মালিকরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত বছর মহামারীতে পুরোপুরি লকডাউনের পরে, ইসরায়েলের সীমান্ত আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের মতো এ বছরও বড়দিনের উৎসবে মধ্যরাত্রির অনুষ্ঠান কেবল আমন্ত্রণপ্রাপ্ত অল্প সংখ্যক মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
ইউরোপে সরকারগুলো করোনা মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনরায় আরোপ করার ফলে অনেকের জন্যই বড়দিনের আনন্দ কমে গেছে।
নেদারল্যান্ডস পুনরায় লকডাউন আরোপ করেছে। এদিকে স্পেন ও ইতালি বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে।
যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার রেকর্ড সংখ্যক লোক কোভিড সংক্রমিত হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আত্মীয়দের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে একটি বুস্টার ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবুও, বিশ্বের অন্যান্য অনেক জায়গায় বড়দিনের অনুষ্ঠানে যোগদান গত বছরের তুলনায় সহজ হবে।
সংক্রমণের রেকর্ড সত্বেও বড়দিনের আমেজ ফিরিয়ে আনার জন্য বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ানকে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উৎসবের ছুটি কাটাতে আন্ত:রাজ্য ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সিডনির ক্যাথলিক আর্চবিশপ অ্যান্থনি ফিশার তার বড়দিনের বার্তায় বলেছেন, “আমরা সবাই কয়েক মাস বিচ্ছেদের পর বিমানবন্দরে মানুষের চলাচলের দৃশ্য দেখেছি।”
তিনি বলেন,”এমন অন্ধকার সময়ে, বড়দিন একটি আলোর রশ্মি , একটি আশার আালো।”
পোপ ফ্রান্সিস সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে বড়দিনের প্রাক্কালে বাণী দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বড়দিনের আগে লক্ষ লক্ষ আমেরিকানও বেরিয়ে পড়েছে। সেখানে ওমিক্রনের সংক্রমণ কোভিড ডেল্টা সংক্রমনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। রোগীদের জন্য হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না।
হাজার হাজার মানুষ সেখানে সপ্তাহান্তের একটি নিরানন্দ ছুটির মুখোমুখি হতে চলেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে ১২০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সূত্র: বাসস