
শীতকালীন সবজি শিম সবার কাছেই পরিচিত। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই চাষ হয় শিম। নানাভাবে খাওয়া যায় এই সবজি। শিমে নানা গুণেও ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে ৮৬.১ গ্রাম জলীয় অংশ আছে।
এতে খনিজ উপাদান রয়েছে ০.৯ গ্রাম, আঁশ ১.৮ গ্রাম ও ক্যালোরি বা খাদ্যশক্তি রয়েছে ৪৮ কিলো ক্যালোরি।
এছাড়াও শিমে ৩.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ২১০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১.৭ মি.গ্রাম লৌহ রয়েছে। এসব উপাদান ছাড়াও শিম জিঙ্ক, ভিটামিন সি ও নানা রকম খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ।
শিম প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন আর মিনারেলে-সমৃদ্ধ। যারা সরাসরি প্রোটিন খান না অর্থাৎ মাছ, মাংস খাওয়া হয় না, তাঁদের জন্য শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে। এই শীতে নিয়মিত শিম খেলে ত্বকও ভালো থাকবে।
শিমে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, জিংক আর মিনারেল। এগুলো শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
শিমের ভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ও শিমের মধ্যে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধে কাজ করে। শুধু চুল পড়া রোধেই না, বরং চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
এই সবজিটিতে পাচক আঁশ (ডায়েটরি ফাইবার) থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
শীতে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক আর প্রাণহীন। একটু যত্নআত্তির ঘাটতি হলেই শীতে ফেটে যায় ত্বক। নিয়মিত শিম খেলে ভালো থাকবে ত্বক। ত্বকের রোগবালাইও দূরে থাকবে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু বাড়িয়েই দেয় না, রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে। তাই যত দিন শিম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে, এটি হোক খাদ্যসঙ্গী।