
আতাউর রহমান।।স্বজন, সতীর্থ, শিক্ষার্র্থী, গ্রামবাসীদের অশ্রুজলেসিক্ত হয়ে চির নিদ্রায় সমাহিত হলেন কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল গফুর (৬৭)।
টানা ৪ দিনচিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা বিফল করে শুক্রবার ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলেপড়লেন আব্দুল গফুর স্যার (ইন্না …. রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ৪ দিন আগে তিনি অসুস্থ বোধ করলে প্রথমে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে শেখ আবু নাছের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গফুর স্যার।
তাঁর ব্রেইন স্ট্রোক এতটাই মারাত্মক ছিলো যে চিকিৎসকরা আশা একেবারে ছেড়েই দিয়েছিলেন। সর্বশেষ তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু তা বিফলে পর্যবসিত হয়।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে গফুর স্যারের মৃতদেহ কলারোয়ার সীমান্তবর্তী কাদপুর গ্রামে এসে পৌঁছালে সেখানে এক বেদনাবিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত স্যারের বিপুল সংখ্যক গুণমুগ্ধরা তাঁকে এক নজরে দেখে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আব্দুর গফুর স্যার অবসরকালীন সময়ে এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন।
তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির চন্দনপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জুম্মা নামাজের পর কাদপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত জানাযা নামাজে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্তস্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, প্রফেসর আব্দুল মজিদ, সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল, যশোরের নতুনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজ্জামান,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বজলুর রহমান, প্রধান শিক্ষক হাসান আবু তাহের, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ পর্ব সঞ্চালনা করেন চন্দনপুর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী রবিউল ইসলাম।
জানাযা নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আসাদুল রহমান। জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে মরহুমের দাফণ সম্পন্ন করা হয়।