নতুন শিক্ষাক্রমে থাকছে না প্রাথমিক সমাপনী-পিইসি পরীক্ষা। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, পিইসি পরীক্ষা কোনোভাবেই রাখা যাবে না।
২০১০ সাল থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়। এই পরীক্ষা চালুর পর থেকেই এর বিপক্ষে অবস্থান নেন শিক্ষা গবেষকরা।
শিক্ষার্থীদের পড়ার চাপ কমাতে নতুন শিক্ষাক্রমে পিইসি পরীক্ষা রাখা হচ্ছে না। অথচ প্রাথমিক শিক্ষাবোর্ড তৈরির কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
এ সংক্রান্ত আইনের খসড়াও করা হয়েছে। খসড়ায় বোর্ডের মূল কার্যপরিধিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের কথাই বলা হয়েছে। এছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষায় সুষ্ঠু মূল্যায়ন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে নীতি, পরিকল্পনা ও গাইডলাইন প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে বোর্ড।
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, এ বিষয়ে মতামত নেয়া হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, কোনোভাবেই পিইসি পরীক্ষা রাখা যাবে না। এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করে। এছাড়াও এই পরীক্ষা কোচিং বাণিজ্যের সুযোগ করে দেয়।
পড়াশোনার আনন্দদায়ক পরিবেশ তৈরির পথেও এই পরীক্ষা বড় বাঁধা। পিইসি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষানীতির মূল ধারণার সাথেও সাংঘর্ষিক বলছেন গবেষকরা। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকেও এই পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আরিফুজ্জামান আরিফ, অফিস: বাগআচঁড়া,যশোর
Copyright © 2025 বেত্রাবতী নিউজ২৪. All rights reserved.