
বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েতের মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
দেশটির আমির শেখ নাওয়াল আল আহমেদ আল সাবাহ সোমবার মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কুনা জানিয়েছে।
দেশটির নির্বাচিত সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহকে প্রশ্ন করা নিয়ে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা চলে আসছে। মূলত সেই অচলাবস্থার অবসানে সহায়তায় এই পদত্যাগ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, এই পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেছেন – প্রধানমন্ত্রী যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, তার মধ্যে ভোটের ফলাফলের কোনো প্রতিফলন নেই। স্পিকার এবং বিভিন্ন কমিটির গঠন নিয়েও সরকার অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সংবাদসংস্থা এপি’কে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল ইউসেফ জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট সদস্যরা বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার চাইছেন। কারণ, সরকার পুরনো কিছু মুখকেই বারবার দায়িত্ব দিচ্ছে। এই ব্যবস্থায় এই ধরনের ‘ডেডলক’ হবেই।
কুয়েতে বেশ কিছু দিন ধরেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ১২ জানুয়ারি পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার প্রস্তাব জমা পড়ে। তার পরেই মন্ত্রীরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শেখ সাবাহ ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েতই প্রথম দেশ, যারা ১৯৬৩ সালে পার্লামেন্ট গঠন করে। গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়েছে।
তবে পার্লামেন্ট গঠিত হলেও সব ক্ষমতা আল-সাবাহ পরিবার ও আমিরের হাতেই আছে। তারাই সরকার নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। সূত্র রয়টার্স, এপি