ঢাকারবিবার , ৭ নভেম্বর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষাঙ্গন
  13. সারাদেশ
  14. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঋতুপর্ণা: একান্নতেও ফুরিয়ে যাননি তিনি

Arifuzman Arif
নভেম্বর ৭, ২০২১ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটক দিয়ে। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন সিনেমায়। নায়িকা হিসেবে চুটিয়ে কাজ করেছেন টালিউডে। লম্বা সময় ধরে কলকাতার সিনেমায় প্রসেনজিতের সঙ্গে জুটি হয়ে তিনি বাজিমাত করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশেও কাজ করেছেন বহু সিনেমায়।

সিনেমায় তার পথচলা প্রায় ৩০ বছরের কাছাকাছি। আর এ বছর তিনি ৫১-এ পা দিয়েছেন। তবুও ফুরিয়ে যাননি তিনি। অন্যসব নায়িকা বা অভিনেত্রীর মতো হারিয়ে যাননি।

বরং সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করে তিনি আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। যার ফলে এখনও তাকে দেখা যায় সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে।

বলছি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কথা। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ। ১৯৭০ সালের ৭ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ঋতুপর্ণা। তিনি পড়াশোনা করেছেন মাউন্ট কারমেল স্কুলে। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলাবিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হন। তবে অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আর সেটা সম্পন্ন করতে পারেননি।

ছোটবেলা থেকেই অভিনয়, সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন ঋতুপর্ণা। ছেলেবেলায় তিনি চিত্রাংশু নামে একটি শিল্পবিদ্যালয় থেকে অঙ্কন, নৃত্য ও হাতের কাজে দক্ষতা অর্জন করেন।

১৯৮৯ সালে কুশল চক্রবর্তীর বিপরীতে বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্বেত কপোত’ দিয়ে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এরপর তিনি আরও কয়েকটি টিভি সিরিজে অভিনয় করেন।

ঋতুপর্ণার সিনে ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯২ সালে। সিনেমার নাম ছিল ‘শ্বেত পাথরের থালা’। প্রভাত রায়ের এই সিনেমা সে বছর ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল। তাই বলাই বাহুল্য, ঋতুপর্ণার ক্যারিয়ার একটি প্রশংসিত সিনেমা দিয়েই শুরু হয়েছিল।

এরপরই নির্মাতা-প্রযোজকদের নজরে চলে আসেন ঋতুপর্ণা। ১৯৯৪ সালে তিনি ‘নাগ পঞ্চমী’ সিনেমার মাধ্যমে প্রসেনজিতের সঙ্গে এবং ‘লাল পান বিবি’ সিনেমায় চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার নাম ছড়িয়ে যায় বলিউডেও। সেই সুবাদে ১৯৯৪ সালেই ঋতুপর্ণার বলিউডে অভিষেক হয়। সিনেমার নাম ‘তিসরা কন’। এতে ঋতুর বিপরীতে ছিলেন চাঙ্কি পাণ্ডে।

ঋতুপর্ণা সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। তবে দর্শক-সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘দহন’, ‘অনুরণন’, ‘ম্যায়, মেরি পত্নী অউর ও’, ‘শ্বেত পাথরের থালা’, ‘রাজকাহিনী’, ‘দৃষ্টিকোণ’, ‘আহা রে’, ‘প্রাক্তন’, ‘বিদ্রোহিণী’, ‘মুক্তধারা’, ‘পারমিতার একদিন’, ‘বাম বাম বোলে’, ‘বেলা শেষে’, ‘৩ কন্যা’, ‘দ্য পার্সেল’, ‘লাভ খিচড়ি’, ‘অলিক সুখ’, ‘উৎসব’, ‘অ্যা টেল অব অ্যা নটী গার্ল’, ‘মুখার্জি দার বউ’, ‘আলো’, ‘তিন কাহন’, ‘ফোর চ্যাপ্টার’, ‘হাউজ অব স্টোরিজ’, ‘মোহিনী’, ‘মধু মালতী’, ‘মধুর মিলন’, ‘ডু নট ডিস্টার্ব’, ‘মহানায়িকা’, ‘চারুলতা’, ‘ভাগ্যদেবতা’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশেও ঋতুপর্ণা অনেকগুলো সিনেমায় কাজ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘সাগরিকা’ ও ‘রাঙাবউ’।

ঋতুপর্ণা অভিনয়ের জন্য বরাবরই নন্দিত, প্রশংসিত। দর্শকদের কাছে যেমন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি, তেমনভাবে পুরস্কারেও নিজেকে বারবার সেরা হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ১৯৯৮ সালে ‘দহন’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

২০১৪ ও ২০১৭ সালে তিনি যথাক্রমে ‘অলিক সুখ’ ও ‘প্রাক্তন’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন। এছাড়া ঋতুপর্ণা ১০বার কালাকার অ্যাওয়ার্ড, একবার বিএফজেএ পুরস্কার ও একবার আনন্দলোক পুরস্কার পেয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে ঋতুপর্ণা বিয়ে করেছেন তার বাল্যবন্ধু সঞ্জয় চক্রবর্তীকে। তারা ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান অংকন ও রিশনা নিয়া।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।