আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেউ সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী অথবা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা কেউ আইন ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার(৫ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে নির্বাচনী সহিংসতায় এ পর্যন্ত চারটি মায়ের বুক খালি হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতায় আর কোন মায়ের বুক খালি হোক নির্বাচন কমিশন তা আশা করে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণও তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনার সকল প্রার্থীদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান।
এছাড়া, অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর, বন্দর ও রূপগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে জেলার সোনারগাঁও উপজেলার ৮টি ইউনয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।