বাতাসে হিমেল পরশ, আর্দ্রতা সরে গিয়ে শুষ্ক ভাব জানান দিচ্ছে শীত আসছে।
আবহাওয়া বলছে কনকনে শীত পড়তে এখনো মাস খানেক দেরি। কিন্তু তার আগে তো লেপ-কম্বল বের করে ফেলতে হবে। সেই এক বছর আগে তুলে রাখা হয়েছিল শীতের শেষে।
এতদিনে তার ওপর ধুলোর আস্তরণ পড়ে গিয়েছে। সে সব সরিয়ে আবার লেপ-কম্বলকে শীতের জন্য তৈরি করতে হবে।চলুন জেনে আসি সহজে শীতবস্ত্রের যত্ন নেয়ার কিছু খুটিনাটি বিষয়-
লেপের যত্ন
লেপ যদি শিমুল তুলার হয়ে থাকে, তাহলে ধোয়া তো দূরের কথা, ড্রাই ওয়াশ করা যায় না। এক্ষেত্রে লেপ রোদে দিন। এতে লেপের ওপর থাকা ধুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। লেপের যদি কভার থাকে, তাহলে সেটি কেচে নিন। লেপ পরিষ্কার না থাকলে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কম্বলের যত্ন
একই কথা কম্বলের ক্ষেত্রেও খাটে। এটিও পরিষ্কার রাখা জরুরি। তবে কম্বল কিন্তু ধোয়া যেতে পারে। শ্যাম্পুতে মিনিট দশেক ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। ঝামেলা এড়াতে লন্ড্রিতে দিয়ে দিতে পারেন। সেখান থেকেই ঝকঝকে করে পাঠাবে কম্বল।
কাঁথার যত্ন
কাঁথা পরিষ্কার করা কষ্টকর কাজ নয়। বাড়িতে অনায়াসেই কাঁথা কেচে নেয়া যায়। তারপর রোদে শুকিয়ে তা ব্যবহার করুন।শুধু লেপ, কম্বল আর কাঁথাই তো নয়; শীত মানেই উলের পোশাক আর লেদার জ্যাকেটেরও মরশুম। সেগুলোরও তো দেখভাল জরুরি।
সোযেটারের যত্ন
পশমের জামা বা উলের সোয়েটার উষ্ণ জলে না ধুয়ে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। তবে ধোয়ার সময় জলে একটু পাতিলেবুর রস ও ভিনিগার দিয়ে দিতে পারেন। এতে রং ঠিক থাকবে। পশমের জামা ইস্ত্রি করার সময় অতি অবশ্যই তার উপর সুতির চাদর বিছিয়ে নিন। সরাসরি পশমের সঙ্গে ইস্ত্রির স্পর্শ যেন না হয়।
লেদার জ্যাকেটের যত্ন
এগুলি অতি অবশ্যই লন্ড্রিতে দিন। বাড়িতে এই ধরনের জ্যাকেট পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। লেদারের কাপড় বাড়িতে পরিস্কার না করে লন্ড্রিতে দিন। এগুলি কখনই রোদে দেওয়া উচিত নয়। জ্যাকেট কয়েক বছর পুরনো হয়ে গেলে ভিতরের লাইনিং পালটে নিন।