করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মাঝে সরকারের পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে দেশে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবারও ছাড়িয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পাশাপাশি পরিচর্যার মাধ্যমে নতুন নতুন এলাকা চা বাগানের আওতায় আনায় এ শিল্প সুফল পেতে যাচ্ছে।
একদিকে করোনা, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন। এই দুয়ে মিলে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা শিল্পগুলোর মাথা নুইয়ে পড়ার কথা। কিন্তু ১৬৭টি চা-বাগান নিয়ে গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম বৃহৎ এই শিল্প গেল বছরগুলোর মতো চলতি মৌসুমেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে চা উৎপাদন হয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ কেজি। বছর শেষে গত বছরের চেয়ে চা উৎপাদন এক কোটি কেজি বেশি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে দেশের এই শিল্প সচল রাখার জন্য করোনার ঝুঁকি মাঝেও শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে কাজ করায় সুফল এসেছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, সুরমাভ্যালি শাখার সভাপতি রাজু গোয়ালা।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ কেজি। ৯ মাসে ৮৪ ভাগ চা উৎপাদন হয়েছে। যথাসময়ে চা-বাগানের পরিচর্যার পাশাপাশি নতুন নতুন এলাকা চা বাগানের আওতায় আনায় জলবায়ুর ভয়াল থাবা এই শিল্পকে দমিয়ে রাখতে পারেনি বলে জানান লাক্কাটুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক।
২০১৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হয়েছিল ৯ কোটি ৬১ লাখ কেজি। আর গত বছর উৎপাদন হয় ৮ কোটি ৬৪ লাখ কেজি।