
অবশেষে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুম্বায়ের আর্থার রোডের কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন আরিয়ান। সেখানে আগে থেকেই গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন শাহরুখ খান।
ছেলেকে দ্রুত গাড়িতে তুলে ‘মান্নাত’-এর দিকে রওনা হন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় আরিয়ানের রিলিজ পেপার হাতে পায় জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২৮ অক্টোবর আরিয়ান খানকে জামিন দেন মুম্বাই হাইকোর্ট আর আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২৯ অক্টোবর।
গত ২৮ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন হলেও সেদিন মুক্তি মেলেনি। কথা ছিল পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেল থেকে ছাড়া পাবেন। তবে আর্থার রোডের জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবারও নয় আরিয়ান ছাড়া পাবেন শনিবার।
বলা হয়, শনিবার সকাল ছয়টায় ফের খুলবে আর্থার রোড জেলের জমানত বক্স। এরপর শনিবার সকাল ১০টায় আরিয়ানের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সেভাবে প্রস্তুতি সেরে রাখে শাহরুখের পরিবার। শুক্রবার বিকেলে মান্নাতের সামনে দেখা যায় সাজ সাজ রব। আরিয়ানকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছে মান্নাত। দলে দলে এসে ভিড় করছেন শাহরুখের ভক্তরা। ছেলের জন্য প্রহর গুনছেন শাহরুখ-গৌরী।
বৃহস্পতিবার আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করলেও জামিনের বিস্তারিত রায়ের প্রতিলিপি জারি করেনি বোম্বে হাইকোর্ট। শুক্রবার দুপুরে পর জানানো হয় আরিয়ানের জামিনের শর্ত। জামিন শর্ত পূরণ করতে সব রকম ব্যবস্থা আগেভাগেই সাজিয়ে রেখেছিলেন আরিয়ানের আইনজীবীরা। তৈরি ছিল মুচলেকার শর্ত নগদ এক লাখ টাকা।
জামিনদার হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন আরিয়ানের বাবা শাহরুখসহ অভিনেত্রী জুহি চাওলাও। কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। কিন্তু এরপরও শেষ পর্যন্ত সময় মতো সব আইনি প্রক্রিয়া সেরে উঠতে পারেননি আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে।
ভারতের কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর কোনো অভিযুক্তের জামিনের কাগজ গ্রহণ করে না তারা। কারণ, সূর্যাস্তের পর বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই আর্থার রোড জেলের জামানত বক্স নিয়মমাফিক বন্ধ করে দেওয়া হয় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।
২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরি থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে। ৩ তারিখ তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)।
৮ অক্টোবর থেকে আর্থার রোড জেলে বন্দী আরিয়ান। গত ২৫ দিনে বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছেন শাহরুখপুত্র। কিন্তু গতকালের আগপর্যন্ত প্রতিবারই খারিজ হয়েছে আবেদন।