সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভারতের সাংবাদিকরা। ভারতসফর শেষে ঢাকায় ফিরে এ কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় ফিরে বিকেলে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সফরসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কলকাতার সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্ন ছিল।
বিএনপি-জামায়াতসহ উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করেছে এবং সরকার কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই অপচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করেছে, সেটি তাদেরকে বলেছি। ভারতের পত্র-পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইনে সে বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ এসেছে।’
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন এলেই বিএনপি এ ধরনের বক্তব্য দেয়।
২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দোদুল্যমান অংশগ্রহণের পর আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির জন্যই ক্ষতিকর হবে।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তার ঐচ্ছিক তহবিলের অনুদান, ক্যানসারসহ দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদানের চেক ও সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ এবং বিভিন্ন ক্লাবকে ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের, তা বিবেচনা করে না, যার সাহায্য প্রয়োজন, তাকেই সহায়তা দেয়।’
তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ৬৪ জনকে সহায়তা, ১০টি ক্লাবকে ক্রীড়াসামগ্রী, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ২৮ জনকে দূরারোগ্য ব্যাধি চিকিৎসা সহায়তা এবং ৪৯ জনকে পল্লি সমাজসেবা ঋণ দেওয়া হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুসের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বজন কুমার তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাছান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিগারুল ইসলাম জিগার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।