পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে জোড়া উইকেট হারানোর পর প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দিয়েছিলেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্য। লিটনের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি।
দেখতে দেখতে কঠিন হয়ে যাচ্ছে ১৪৩ রানের লক্ষ্য। টপঅর্ডার ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যানসে বেড়েই চলেছে রানের চাহিদা। ইনিংসের ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬৫ রান। শেষ ৯ ওভারে প্রয়োজন আরও ৭৮ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৪২ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই চমক দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছে সাকিবকে। এর আগে কখনও ইনিংসের সূচনা করতে দেখা যায়নি সাকিবকে।
আজ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো এ কঠিন দায়িত্বটিই নিজের কাঁধে তুলে নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৮, ১১, ০, ৪০ ও ১৪ রান।
লিটন-নাইমের উদ্বোধনী জুটি সে অর্থে জমেনি একটি ম্যাচেও। এ কারণেই হয়তো আজ (শুক্রবার) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লিটন দাসকে ব্যাটিং অর্ডারে নিচে পাঠিয়ে সাকিবকে আনা হয় ওপেনিংয়ে।
কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে এক চারের মারে ১২ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি সাকিব। আন্দ্রের রাসেলের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে জেসন হোল্ডারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের ওভারে অগ্রজ সতীর্থের দেখা পথে হাঁটেন নাইমও।
আগের ওভারে সাকিবের ক্যাচ নেয়া হোল্ডার এবার বল হাতে সাজঘরে ফেরান নাইমকে। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন ১৯ বলে ১৭ রান করা নাইম। মাত্র ২৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বাধেন লিটন ও সৌম্য। তারা দুজন হাত খুলতে খেলতে পারেননি। তবে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ পার করা তারা। আন্দ্রে রাসেলের বলে দারুণ এক পুল শটে বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য।
ইনিংসের ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে আকিল হোসেনের বলেও মারের চার। কিন্তু পরের বলটি তার ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে চলে যায় শর্ট থার্ড ম্যানে।
যেখানে সামনে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দী করেন ক্রিস গেইল। ফলে বিদায়ঘণ্টা বাজে ১৭ রান করা সৌম্যর।