
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, কাতার ও ফ্রান্সে নিযুক্ত সুদানের রাষ্ট্রদূত এবং সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে দেশটির মিশন প্রধানকে অব্যাহতি দিয়েছে সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী।
এছাড়া দেশটির ক্ষমতা দখলে নেওয়া সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে। যদিও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক চাপ অব্যাহত রয়েছে। খবর আল-জাজিরা
বুধবার (২৭ অক্টোবর) গভীর রাতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয় সামরিক বাহিনী। সামরিক অভ্যুত্থানকে প্রত্যাখ্যানের জন্যই মূলত তাদের এ অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রায় দু’বছর ধরে সামরিক-বেসামরিক নেতাদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে চলছিল সুদানের শাসনব্যবস্থা। কিন্তু গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল ফাত্তাহ আল-বুরহাম।
প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি ও বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি।
এর পরপরই সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন সুদানের হাজার হাজার মানুষ। নিন্দার ঝড় ওঠে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। সুদানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এরই মধ্যে সরব হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের জেরে এরই মধ্যে সুদানের জন্য বরাদ্দ সবধরনের আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে, একই কারণে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)।
আফ্রিকান দেশটির প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এর ফলে কয়েক দশক পর কিছুটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মুখ দেখা সুদানের ভব্যিষ্যৎ আবারও গভীর অন্ধকারে ডুবতে বসেছে।