মাসুদ রানা,মোংলা।। মোংলায় এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর ও টাকা ছিনতাই করেছে একদল সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ৫জন ছিনতাইকারী ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মোংলা পুরানো বাসষ্টান্ডে ফেলে রাখলে অচেতন অবস্থায় বাস ড্রাইভার ও স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে দ্বিগরাজ বাজারে পৌছে দেয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে তার স্ত্রী বুড়িরডাঙ্গা মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগম বাদি হয়ে মোংলা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন ছিনতাইকারী কে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
থানায় দেয়া অভিযোগ সুত্রে ও তার স্ত্রী ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগম জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় মোংলার ইপিজেড থেকে ঠিকাদারী কাজের বিলের টাকা নিয়ে বাড়ী দিকে আসছিলো ওলিয়ার মালঙ্গী নামের এক ব্যবসায়ী।
এসময় তার সাথে কল্পনা সরদার নামের এক কর্মচারীসহ মোংলা বন্দর ভবন ও ইপিজেড মোড়ে দাড়িয়েছিল তারা গাড়ীর অপেক্ষায়।
এসময় উত্তরদিক থেকে আসা একটি মাহেন্দ্রে ৪/৫জন ছিনতাইকারী ওই ব্যবসায়ীকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। একটি ফাকা স্থানে নিয়ে মারধর করে এবং তার সাথে থাকা ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং সাথে থাকা দুই লক্ষ দশ হাজার টাকার জনতা ব্যাংকের একটি চেক, যার নং-(সিডি-১০-০১৮২১৮০) জোর পুর্বক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে করে ছিনতাইকারীরা।
মারধরের এক পর্যায় ছিনতাইকারীদের একজন পুলিশ সুপারের গাড়ীর ড্রাইভার পরিচয় দেয় বলে আহত ঠিকাদার ব্যবসায়ী ওলিয়ার মালঙ্গী জানায়।
তিনি আরো জানায়, তার সাথে থাকা আরো টাকার জন্য মারধর করে তাকে অচেতন অবস্থায় পুরানো বাস ষ্টান্ডের রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় ছিনতাইকারীরা। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন, বাসের ড্রোইভার ও হেলপারেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্বিগরাজ বাজারে পৌছে তার স্ত্রী বুড়িরডাঙ্গা উইনয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগমকে খবর দেয়।
সোমবার রাতে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আহত ব্যবসায়ীকে। সেখানে চিকিৎসা দেয়া ব্যাবসায়ী ওলিয়ার মালঙ্গী সুস্থ্য আছে বলে জানায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম।
এব্যাপারে তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে মিরাজ (৩০), বেল্লাল (৪৭), মোক্তার (২৮), বায়েজিত (২৫) ও শহিদুল (৩২) কে আসামী করে মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা থানায় অভিযোগ দাখিল করে।
অভিযুক্ত মোংলা বাস ষ্টান্ড ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে একটি ঘটনার খবর শুনে আমি নিজে গিয়ে ওলিয়ার মালঙ্গীকে চিকিৎসা করার সহায়তা করেছি কিন্ত এর সাথে আমি জড়িত নয় বা অন্য কেউ জড়িত কিনা তা তার জানা নাই বলে জানায় শহিদুল।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একটি অভিযোগ দিয়েছে তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম, তবে গত রাতে খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও আহত ওলিয়ার মালঙ্গীর চিকিৎসার ব্যাপারে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে এবং আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় থানার এ কর্মকর্তা।