জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে এখন তথ্যপ্রবাহের সুবর্ণ সময় অতিবাহিত হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে এসেছে। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের ব্যস্তবতা।
তিনি বলেছেন, অনলাইন পোর্টালসহ নিত্যনতুন মাধ্যম সম্পর্কে আমাদের জানতে হচ্ছে। গণমাধ্যম থেকে তথ্য পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
রাস্তার যানজট, আবহাওয়ার আগাম বার্তা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পথ চলতে পারি। চলার পথে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাংবাদিকতা তাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
স্পিকার আর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার কারণে আমরা করোনা পরিস্থিতির সময় কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত না হয়েও কাজ করতে পেরেছি। সবকিছু এর মাধ্যমে পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিপেক্ষিতে গণমাধ্যম অবাধে সব সংবাদ প্রচার করছে। কিন্তু সামাজিক পেক্ষাপটে বিভিন্ন ইস্যু চালেঞ্জ হয়ে আসছে। সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে অবশ্যই ভাবতে হবে।
স্পিকার বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। বিভিন্ন সংবাদ মুহূর্তের মধ্যে চিত্র পাল্টে দিচ্ছে। জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ দেখাচ্ছে। সেজন্য সঠিক ও যথাযথ তথ্য প্রয়োজন।
শিরীন শারমিন বলেন, এজন্য দায়িত্বশীল ও নৈতিকতা নির্ভর সাংবাদিকতা প্রয়োজন। বর্তমান পেক্ষাপটে আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক বা এ ধরনের যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নানা অপকর্ম হচ্ছে। সেগুলো থেকে আমরা কীভাবে সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে পারি, সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বে যে ফলস নিউজ সোশ্যাল মিডিয়াকে মুহূর্তের মধ্যে ক্যাপচার করে, সেক্ষেত্রে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই পারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। মানুষের কাছে বিশ্বাসেযোগ্য সংবাদ তুলে ধরতে হবে। জনস্বার্থকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাওয়ার্ড কমিটির জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির এ. মিশুক, নগদের সিইও নিয়াজ মোর্শেদ, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান, অ্যাওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক ও ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।