
আতাউর রহমান।।সাতক্ষীরা কলারোয়ার ব্রজবাকসাতে পারিবারিক কলহের জেরে গলায় রশি দিয়ে নাহিদা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে ৷
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার হুমায়ুন কবীর৷
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাকসা মোল্লা পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুন৷
তিনি বলেন, গৃহবধূ নাহিদা খাতুন (২৮) মোল্লা পাড়া গ্রামের শাহাজান মল্লার ছেলে ইকবাল হোসেনের স্ত্রী দাম্পত্য’র সংসারে সাকিবুল হাসান নামের তিন বছর বয়সী এক ছেলে আছে৷
গৃহবধূর মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ হেফাজতে আছে কি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি৷
নব নির্বাচিত ব্রজবাকসা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলাম বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে অভিমানে সকালে গৃহবধূর স্বামী মাঠে গেলে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে৷
এলাকাবাসী উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সাম্প্রতি কয়েক দিন যাবত স্বামী স্ত্রীর দুজনের মধ্যে বেশ মনোমালিন্য ও পারিবারিক কলহ ছিল এমনকি ঘটনার দিন রাতেও স্ত্রীকে মারপিট করে সকালে গ্যাঞ্জাম করে গৃহবধূর স্বামী কাজের উদ্দেশ্য মাঠে গেলে ঘরের মধ্যে আড়াই রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ৷
পরে ঘটনা জানাজানি হলে গৃহবধূকে শশুর বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন৷
এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর এসআই সোহারব হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্রজবাকসা এলাকায় স্বামী ইকবাল হোসেনের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূ নাহিদা খাতুন আত্মহত্যা করে মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ঘটনার তদন্ত পূর্বক আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
এদিকে মৃত নারীর স্বজনরা দাবী করছে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং থানায় মামলা করা হয়েছে।তবে মামলার কপি এখনও স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করেনি পুলিশ।