বাংলাদেশ ব্যাংক সহজে রপ্তানি আয় দেশে আনতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত যেকোনো অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে ফ্রিল্যান্সার ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করে সকল অথরাইজড ডিলারদের পাঠানো হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেবা সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্লাটফর্মের সঙ্গে মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনাসহ বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীরা যোগ্য হিসেবে কাজ করতে পারবে।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্লাটফর্মে কিংবা বিদেশি পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের নস্ট্রো হিসাবে (বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব) জমা করা অর্থ ওই ব্যাংক পরবর্তীতে সেবা প্রদানকারী গ্রাহকের হিসাবে জমা করবে।
এক্ষেত্রে এডি ব্যাংক-সেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্লাটফর্মের সঙ্গে পরিচালিত মার্চেন্ট হিসাব পরিচালনা এবং বিদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে তার হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেবে।
পরে সেবা প্রদানকারীর সেবা কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ ঘোষণা নিতে হবে। প্রদত্ত সেবার বিপরীতে প্রাপ্য আয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস বা প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন কিংবা নোশনাল ও মার্চেন্ট হিসাবে জমার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তা দেশে আনার বিষয়ে গ্রাহকের নিকট থেকে আন্ডারটেকিং গ্রহণ করবে। রপ্তানি আয়ে সেবা খাতের বিপরীতে প্রাপ্ত আয় গ্রাহকের হিসাবে জমা হবে।
একইসঙ্গে গ্রাহকের স্থানীয় ডিজিটাল ওয়ালেটে উক্ত অর্থ টাকায় জমা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে প্রাপ্ত আয়ের প্রযোজ্য অংশ গ্রাহকের সম্মতি সাপেক্ষে এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমা করতে পারবে বলে সার্কুলারে এডি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালায় প্রযোজ্য কর কর্তন এবং পরিশোধের বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়েও বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, রপ্তানি খাতের আয় নির্ধারিত ৪ মাসের মধ্যে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেবা আয় দেশে আনার জন্য মার্চেন্ট কিংবা নোশনাল হিসাব ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে দেশের বাইরে অর্থ সংরক্ষণ করা যাবে না।