
শরীরকে চাঙা করার জন্য কফির জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। পানীয়টির এ জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছেই। বাড়ছে দামও। বিশ্বে এখন সবচেয়ে দামি কফির তালিকায় আছে ‘কপি লুয়াক’।
এ প্রকারের কপি সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায়। ইন্দোনেশিয়ায় কফিকে ‘কপি’ বলা হয়ে থাকে। দেশটিতে প্রতি পাউন্ড কপি লুওয়াক ৬০০ ডলারে বিক্রি করা হয়।
লুওয়াক এক ধরনের বিড়াল জাতীয় প্রাণী যার লেজ বানরের মতো। লুওয়াকের মল থেকে তৈরি হয় পৃথিবীর এই অন্যতম দামি কফি। কফি তৈরির জন্য এই প্রাণীগুলোকে আলাদাভাবে রাখা হয়।
এদেরকে কফি বাগানে ছেড়ে দিলে এরা সবচেয়ে ভালো ফলগুলো গিলে খায়। যখন এরা মলত্যাগ করে তখন কফি বিনস গুলো আস্ত থাকে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশুদ্ধ করে কপি লুওয়াক তৈরি করা হয়।
ব্ল্যাক আইভরি
উওর থাইল্যান্ডের এই কফি তৈরি হয় হাতির মল থেকে। হাতির খাবারের সঙ্গে কফির বিনস মিশিয়ে দেয়া হয়। হাতির হজমশক্তি এই কফির বিন্যাসকে মসৃণ করে এবং সুগন্ধ বাড়িয়ে তোলে।
খাবার খাওয়ার ১৫-১৬ ঘন্টা পর হাতি মলত্যাগ করে। এরপর তা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশুদ্ধ করে ব্ল্যাক আইভরি কফি তৈরি করা হয়ে থাকে।
ফিনকা এল ইনজার্টো
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৫০০ ফুটেরও উঁচুস্থানে এই গুয়েতেমালার কফির চাষ করা হয়ে থাকে। ৫০০ ডলার পার পাউন্ড হিসেবে বিক্রি করা হয় পৃথিবীর এই ফিনকা এল ইনজার্টো নামের কফি।
সেন্ট হেলেনা
আটলান্টিক এর দক্ষিণে সেন্ট হেলেনার ছোট দ্বীপে এ কফির চাষ করা হয়ে থাকে। বিরল আর লোভনীয়া স্বাদের এ কফি বিক্রি হয় ১৪৫ ডলার প্রতি পাউন্ড।
মলোকাই কফি
হাওয়াই এর ছোট দ্বিপ মলোকাই এ কফির উৎপত্তি স্থান। হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির মাটিতে এই কফির চাষ করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর এই দামি কফি প্রতি পাউন্ড ৬০ ডলারে বিক্রি করা হয়।