সর্বশেষ টি-২০ সিরিজেই হয়ে যেতে পারতো রেকর্ড। শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গাকে (৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট) টপকে সর্বাধিক উইকেট শিকারী বোলার হিসেবে ইতিহাস রচনা করতে পারতেন সাকিব আল হাসান।
তবে মালিঙ্গার চেয়ে ১ উইকেট পিছিয়ে থেকে সিরিজ শেষ করেছেন সাকিব। সাকিবের সামনে লক্ষ্য ছিল আরও দুটি। ২ উইকেটে পেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোনটা পূর্ণ হতো তার।
তামিমকে টপকে জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক সাকিব হোমে পর পর ২টি সিরিজে পিছিয়ে পড়েছেন। সাকিবকে ( ৮৮ ম্যাচে ১৭৬৩ রান) টপকে এখন মাহমুদউল্লাহ (১০২ ম্যাচে ১৭৭১ রান) উঠে গেছেন শীর্ষে। টি-২০ বিশ্বকাপে এই তিনটি রেকর্ডের হাতছানি সাকিবের সামনে।
৯ রান করতে পারলে মাহমুদউল্লাহকে যাবেন টপকে। ১ উইকেট পেলে ছুঁয়ে ফেলবেন মালিঙ্গাকে। ২ উইকেটে পেলে মালিঙ্গাকে যাবেন টপকে। তা সম্ভব হলেই ২৩তম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬শ’ উইকেট ক্লাবের সদস্যপদ পাবেন সাকিব।
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুই ডিপার্টমেন্টেই সেরা সাকিব। ২৫ ম্যাচে ৫৬৭ রানের পাশে উইকেট তার ৩০টি। টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট শিকারী বোলারদের মধ্যে এখন সাকিবের অবস্থান যৌথভাবে ৫ম। সবার উপরে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির শিকার সংখ্যা ৩৯টি।
ওমান-সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপে ৯ টি উইকেট পেলে ছুঁয়ে ফেলবেন আফ্রিদিকে । ১০ টি উইকেট পেলে ছাড়িয়ে যাবেন সবাইকে। সুপার-১২ এ উঠতে পারলে টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সংখ্যা হবে ৮টি (প্রথম পর্বে ৩টি, সুপার-১২ এ ৫টি)। সর্বশেষ তিনটি আন্তর্জাতিক সিরিজের বোলিং ফর্ম ধরে রাখতে পারলে লক্ষ্যটা সাকিবের জন্য কঠিন কিছুই নয়।
২০১৯ বিশ্বকাপে অলরাউন্ড পারফরমেন্সে মাতিয়েছেন বিশ্ব। ৮ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি, ৫ ফিফটিতে ৮৬.৫৯ গড়ে করেছেন ৬০৬ রান। পাশে পেয়েছেন ৩৬.৩৬ গড়ে ১১ উইকেট। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে এমন অলরাউন্ড পারফরমেন্স সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপেও অব্যহত থাকুক-এ প্রত্যাশা সাকিব ভক্তদের।