মধ্যযুগের খলিফাতাবাদ থেকে আজকের বাগেরহাট। এখানে রয়েছে প্রায় ৬ শত বছর আগের নানা পুরাকীর্তি। যা ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। তবে পরিচর্যার অভাবে ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে অনেক মূল্যবান পুরাকীর্তি।
বাগেরহাট দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর। এ শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিকল্পিত নগর গড়ে ওঠার সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে আধ্যাত্মিক পীর খান জাহান আলীর নাম। তার নির্মিত ইসলামী স্থাপত্য রীতির মসজিদগুলোর জন্যই ১৯৮৫ সালে বাগেরহাটকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেস্কো।
ঐতিহ্যবাহী এই শহরেই খানজাহান আলী নির্মাণ করেন বিশ্বখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ ও বিবি বেগনী মসজিদসহ বহু স্থাপনা। পানির সংকট নিরসনে খনন করেছিলেন ৩৬০টি পুকুর ও দীঘি। গড়ে তুলেছিলেন নাগরিক সুবিধাসম্বলিত এক পরিকল্পিত শহর।
৬শ’ বছর আগে খানজাহান আলীর নির্মিত পুরাকীর্তিগুলো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হলেও সেটা সেইভাবে পরিচিতি লাভ করেনি। সংরক্ষণেও ছিলোনা উলেখযোগ্য কোন উদ্যোগ। ফলে হারিয়ে গেছে যশোর থেকে বাগেরহাট হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত প্রাচীন সড়ক, ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদসহ বহু পুরাকীর্তি। অনেক স্থাপনাই আবার ধ্বংসের হুমকিতে আছে।
তবে এসব পুরাকীর্তি সংরক্ষণে প্রত্নতত্ব বিভাগ কাজ করছে বলে জানালেন বাগেরহাট জাদুঘরের এই কর্মকর্তা। ষাটগুম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলী মাজার ছাড়াও সুলতানী আমলের আরও যেসব গুরুত্বপুর্ণ পুরাকীর্তি আছে সেগুলো সংরক্ষনের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আরিফুজ্জামান আরিফ, অফিস: বাগআচঁড়া,যশোর
Copyright © 2023 বেত্রাবতী নিউজ২৪. All rights reserved.