ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ অক্টোবর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষাঙ্গন
  13. সারাদেশ
  14. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শার্শায় ইস্রাফিল হত্যা মামলায় আরো দুই আসামিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ

Arifuzman Arif
অক্টোবর ১৪, ২০২১ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বেত্রাবতী ডেস্ক।।শার্শায় ইস্রাফিল হোসেন হত্যা মামলায় আরো দুই আসামিকে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

আটক মেহেদী হাসান শার্শা উপজেলার রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত শাহজাহান মীরের ছেলে এবং জনি কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত একটি কোঁদাল, এক পাতা ঘুমের ওষুধ এবং একটি কোমল পানীয়ের বোতল উদ্ধার করা হয়।

১৩ অক্টোবর যশোর ডিবি পুলিশের চৌকশ একটি টিম  ঢাকার আশুলিয়া থানার নয়ারহাট থেকে মেহেদী হাসানকে ও যশোরের শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা থেকে জনিকে আটক করা হয়।

আটক দুইজন বৃহস্পতিবার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট এই হত্যাকান্ডের অভিযোগে নুর আলম, মোশারফ হোসেন ও মর্জিনা বেগমকে আটক করে পুলিশ।

আটক নূর আলম শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে, মোশারফ হোসেন একই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে এবং মর্জিনা বেগম ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন একই গ্রামের বজলু মোড়লের ছেলে ইস্রাফিল  হোসেন। এরপর রাতে আর বাড়ি না ফেরায় ২৯ আগস্ট ইস্রাফিলের স্ত্রী রোজিনা বেগম শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

বিষয়টি আমলে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ শার্শার কাশিয়া ডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশের কাছে ওই তিনজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোড়লবাড়ি কবর স্থানে মাটি চাপা অবস্থায় ইস্রাফিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩জনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন।

এদিকে নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আটক মর্জিনা বেগম তাদেরপ্রতিবেশি। জমিজমা এবং বাড়ির রাস্তা নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে।

গত ২৭ আগস্ট রাতে তার স্বামী ইস্রাফিল হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ফলে ২৯ আগস্ট শার্শা থানায় একটি জিডি করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর আটক নুর আলম হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মেহেদী হাসান ও জনিকে আটক করে।

আটকের সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি কোঁদাল, এক পাতা ঘুমের ওষুধ এবং একটি কোমল পানীয়ের বোতল উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেদী ও জনিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দিয়েছে।

এদিন জবানবন্দিতে বলা হয়েছে, হত্যাকান্ডের কিছুদিন আগে এলাকার ব্যাংক কর্মচারি রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে চুরি হয়। ওই চুরি কাজে নুর আলম, মেহেদী হাসান, জনি, আজিজ অংশ নিয়েছিল।

কিন্তু চুরির বিষয়টিও ইস্রাফিল জেনে যায়। ফলে ইস্রাফিলকে হত্যার পরিকল্পনা করে নুর আলম, আজিজ, মোশারফ, জনি ও মেহেদী হামান এবং মর্জিনা।

হত্যার পরে ইস্রাফিলের পরিহিত লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, স্যান্ডেল এবং মোবাইল ফোন আটক নুর আলমের বাড়িতে চুলায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে হয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।