দুর্গামূর্তির বদলে দশভুজার জায়গা নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গার পাশাপাশি চোখে পড়ছে না লক্ষ্মী,সরস্বতী,কার্তিক,গণেশ বা অসুরও। মায় দেবীর বাহন সিংহকেও ধারেকাছে দেখা যাচ্ছে না।
মমতার মূর্তির পাশে আরো দুটি মূর্তি। সেগুলিও মমতার। দশভুজারূপী মমতার হাতে ধরা কন্যাশ্রী, যুবশ্রী বা শিক্ষাশ্রীর মতো একাধিক সরকারি প্রকল্পের নাম লেখা কার্ড।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের এমনই অভিনব থিমের দুর্গাপুজোয় ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা।
হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামে দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা। দলনেত্রীকে দশভুজা হিসাবে পুজো করা ছাড়াও তার নানা রূপের মূর্তিও রয়েছে গোটা মণ্ডপ জুড়ে।
ফুটবলাকৃতি মণ্ডপে রয়েছে হুইল চেয়ারে বসা মমতাও। রয়েছে ‘ত্রিপুরায় খেলা হবে’ বার্তাও।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের নেতৃত্বে এলাকায় গণেশপুজোর সময়ও অন্য রকমের থিমের পুজো হয়েছিল। সে মণ্ডপে গণেশকে কোলে বসিয়ে মমতাকে দেবী দুর্গার রূপ দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
এ বার দুর্গাপুজোতেও মমতার বন্দনা বুলবুলের। তিনি বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষদের কষ্ট হতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশনে খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া হোক বা কন্যাশ্রীসহ নানা জনমুখী প্রকল্প, সবই বাস্তবায়িত করেছেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, ভোটে পশ্চিমবঙ্গের খেলা শেষ। এ বার গোটা দেশে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাই। যাতে এ সব প্রকল্পের সুবিধা পান প্রতিটি দেশবাসী। আমাদের মণ্ডপে দশভুজারূপে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী এ সব প্রকল্পের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।