ঢাকামঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষাঙ্গন
  13. সারাদেশ
  14. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফাঁসির আগে ক্ষমা চেয়ে কাঁদলেন ধর্ষণ মামলার দুই আসামি

Arifuzman Arif
অক্টোবর ৫, ২০২১ ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বেত্রাবতী ডেস্ক।।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।

এর আগে শেষবারের মতো মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামির সঙ্গে শনিবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেন তার পরিবার। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কালু ও আজিজুল সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে কাঁদতে থাকে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের দুই আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালু (৫০)। পরিবারের কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

বিচারিক ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে টানা ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনরা।

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের সময় কালু ও আজিজুল সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে কাঁদতে থাকেন। দুজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ‍তুহিন কান্তি খান বলেন, রাত ১০টা ৪৫ মিনিট ও ১০ টাকা ৫০ মিনিটে আজিজ ও কালুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন, চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা থানার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয় রায়লক্ষ্মীপুর মাঠে।

এ ঘটনায় খুনের পরদিন নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুইজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন একই গ্রামের সুজন ও মহি।

মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান আসামি মহি। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, আজিজ ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

এরপর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং আরেক আসামি সুজনকে খালাস দেন। ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খালাসপ্রাপ্ত সুজন।

২০০৭ সালের ১০ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই আসামিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এতদিন এখানেই বন্দি আছেন তারা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।