দেশের বহু উপজেলায় এখন আর যেমন প্রেক্ষাগৃহ নেই, ২৫টি জেলাসহ রাজশাহীর মতো বিভাগীয় শহরেও নেই প্রেক্ষাগৃহ।
সাদাকালো যুগের পর নব্বইয়ের দশকে দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৩৫। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫। আবার এর মধ্যে মাত্র ৬৫টি প্রেক্ষাগৃহ প্রদর্শনযোগ্য।
এত কিছুর পরও প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি আশা-জাগানিয়া সংবাদ। চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দেশজুড়ে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুধু তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই ৬৮টি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে স্টার সিনেপ্লেক্স দেশজুড়ে আধুনিক প্রযুক্তির প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এত দিন ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার ঢাকার বাইরে সিনেপ্লেক্স চালু করা হবে। এই উদ্যোগে প্রথমে বগুড়ায় চালু করা হচ্ছে সিনেপ্লেক্স। পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, রাজশাহী ও সৈয়দপুরে নির্মিত হবে স্টার সিনেপ্লেক্স। আবার দেশজুড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের বিনোদনের জন্য প্রেক্ষাগৃহ চেইন চালুর পরিকল্পনাও নিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স।
২০০৫ সালে বন্ধ হয়ে যায় পুরান ঢাকার ইসলামপুরের ঐতিহ্যবাহী লায়ন প্রেক্ষাগৃহ। পুরান ঢাকাবাসীর জন্য এটি ছিল দুঃসংবাদ। তবে এবার সুখবর হচ্ছে, শিগগিরই বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জে চালু হচ্ছে নতুন চারটি সিনেপ্লেক্স। নামকরণ হয়েছে লায়ন সিনেমাস। আগামী ডিসেম্বরে খুলে দেওয়া হবে এই চারটি হল।
বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল জানান আরেকটি সুখবর। প্রেক্ষাগৃহ খাতে প্রণোদনা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেন। এই অর্থ দিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
বগুড়ায় স্টার সিনেপ্লেক্সের মাল্টিপ্লেক্স প্রেক্ষাগৃহটি আগামী বছরের মাঝামাঝি চালু করার পরিকল্পনা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
নান্দনিক পরিবেশ, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের প্রেক্ষাগৃহের সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এখানে। দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের প্রসারে এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও ৬৮টি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪টি জেলায় তৈরি হবে তথ্যকেন্দ্র, যেখানে একটি করে অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্সও নির্মাণ করা হবে। এটির প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত। এই উদ্যোগে দেশজুড়ে সিনেমা দেখতে দর্শকরা নতুন আঙ্গিকে প্রেক্ষাগৃহ পাবে।